ফুটবলের মাঠে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকে চির প্রতিদ্বন্দ্বী মানা হলেও বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির নেতৃত্বে আলবিসেলেস্তারা বিশ্বকাপ জয়ের পর সেলেসাওদের অভিনন্দন ঠিকই পেয়েছে।
এমনকি আর্জেন্টিনাকে শিরোপা উপহার দেবার নেপথ্যের কারিগর মেসিরকে নিজ দেশের ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়ামে মারাকানায় আমন্ত্রন জানিয়েছে ব্রাজিলিয়ানরা।
কিংবদন্ততী মেসির পায়ের ছাপ তারা সংরক্ষন করতে চাইছে।
মারাকানা স্টেডিয়ামের ‘হল অব ফেমে’ কিংবদন্তী বেশ কয়েকজন ফুটবলারেরই পায়ের ছাপ সংরক্ষিত আছে। যাদের মধ্যে আছেন ব্রাজিলের পেলে, রিভেলিনো, গারিঞ্চা,পর্তুগালের ইউসেবিও, জার্মানীর ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, রোনালদো নাজারিও, চিলির এলিয়াস ফিগুয়েরোয়া, সার্বিয়ার দিয়ান পেটকোভিচ প্রমুখ। মেসিকে পায়ের ছাপ দিয়ে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে এরই মধ্যে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) কাছে চিঠি পাঠিয়েছে মারাকানা স্টেডিয়ামের রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত ব্রাজিলের সরকারি সংস্থা স্পোর্টস সুপারিনটেনডেন্ট।
কাতার বিশ^কাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে পেনাল্টিতে ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয় করে আর্জেন্টিনা। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে এটাই মেসির প্রথম বিশ^কাপ শিরোপা। এর আগে ২০২১ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে শিরোপা জয় করেছিল আর্জেন্টিনা।
সংস্থাটির সভাপতি আদ্রিয়ানো সান্তোস বলেছেন, ‘মেসি এরই মধ্যে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তিনি ফুটবল মাঠে নিজের গুরুত্ব প্রমাণ করেছেন। তিনি ফুটবল ইতিহাসেরই অংশ। মারাকানায় তার পায়ের ছাপ রাখার মধ্য দিয়ে সম্মান জানানো হবে। মেসি বল পায়ে অসামান্য প্রতিভাবান একজন ফুটবলার। আর এ কারনেই মেসির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চায় মারাকানাও।’
ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে এর আগে ১৯৫০ ও ২০১৪ সালের বিশ^কাপ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোপা ২০২১ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালও এই মাঠেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল।