কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে গত রবিবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৪-২ গোলে হারে ফ্রান্স। এতে টানা দুটি বিশ্বকাপ জয়ের আশা গুঁড়িয়ে যায় দলটির।
পেনাল্টি শুটআউটে কিংসলে কোমানের শট এমিলিয়ানো মার্তিনেস ঠেকিয়ে দেওয়ার পর অহেলিয়া চুয়ামেনি মারেন বাইরে। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে সেই জোড়া ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি ফ্রান্স। বিশ্ব সেরার মুকুট ধরে রাখার স্বপ্ন ভাঙার দায় মাথা পেতে নিয়ে ফরাসি মিডফিল্ডার চুয়ামেনি ক্ষমা চেয়েছেন সমর্থকদের কাছে।
টানা দুইবার বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা ফ্রান্স সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে দেশে পৌঁছেছে। সেখানে তাদের স্বাগত জানিয়েছে হাজারো মানুষ। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন এমবাপ্পে, রন্দাল কোলো মুয়ানি, কোমান ও চুয়ামেনি। বিশেষ করে কোমান ও চুয়ামেনিকে নিয়েই বেশি সমালোচনা হচ্ছে।
নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার চুয়ামেনি টুইটে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি জানান, হারের তিক্ততা ও হতাশা হজম হতে সময় লাগবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমার দায়ভার আমি নিচ্ছি। পরিকল্পনা ঠিকমতো কাজ করেনি। সবার প্রথমে আমি ক্ষমা চাচ্ছি। আমি নিশ্চিত, ফ্রান্সের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। বিশেষ করে, যদি আমরা আপনাদের ওপর ভরসা রাখতে পারি।
বিশ্বকাপে নিজের অভিষেক আসরে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন ২২ বছর বয়সী চুয়ামেনি। মাঝমাঠে পল পগবার অনুপস্থিতি প্রায় বুঝতেই দেননি এই তরুণ। আক্রমণে সুর বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি রক্ষণেও রেখেছেন অবদান।
গোল করার সামর্থ্যের প্রমাণও দিয়েছেন চুয়ামেনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালে তার ২৫ গজ দূর থেকে করা গোলেই শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল ফরাসিরা। পরে ম্যাচটি তারা জেতে ২-১ ব্যবধানে।
নবচেতনা /এমএআর