গোল্ডেন বুটটা যখন হাতে তুলে নিলেন কিলয়ান এমবাপে, তখন তার মুখে হাসি থাকার কথা ছিল। কিন্তু এমবাপের মুখে হাসি নেই। বিষণ্ন। দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে, দুর্দান্ত একেটি হ্যাটট্রিক করেও জিততে পারলেন না তিনি। বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেও পরাজিত নায়ক হয়েই থাকতে হলো তাকে।
ফুটবলে হ্যাটট্রিক বিরল একটি কৃতিত্ব। তার ওপর বিশ্বকাপের মত আসরে হ্যাটট্রিক মানে বিশেষ কিছু। সে জায়গায় বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক। এ তো অসাধারণ এক ব্যাপার। বিশ্বকাপের ফাইনালে ২০২২ সালের আগে একবারই কেবল হ্যাটট্রিকের ঘটনা ঘটেছিলো। ১৯৬৬ সালে।
১৯৬৬ সালের ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ইংল্যান্ডের জিওফ হার্স্ট। সেবার ইংল্যান্ড হারেনি। একবারই বিশ্বকাপ জিতেছিলো তারা। হার্স্টের হ্যাটট্রিকে সেবার পশ্চিম জার্মানিকে ৪-২ গোলে হারিয়েছিলো ইংল্যান্ড।
দীর্ঘ ৫৬ বছর পর আবারও বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক হলো। এবার হ্যাটট্রিক করলেন ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপে। অসাধারণ খেললেন। ফ্রান্সকে বারবার খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেননি।
টাইব্রেকারে হারতে হয়েছে ফ্রান্সকে। সে সঙ্গে হ্যাটট্রিক করে, গোল্ডেন বুট জিতেও পরাজিত দলে থেকে গেলেন এমবাপে। জিততে পারলে না বিশ্বকাপ ট্রফি। নিশ্চিত অর্থেই এমবাপেকে বলা যায়, ট্রাজিক হিরো।
নবচেতনা / এমএআর