আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। এরপরই ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসরের মাঠের লড়াইয়ের পর্দা নামছে। গ্রুপ পর্ব, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ও সেমির ৩২ দলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এখন নেমে এসেছে সবশেষ দুই দলে। আসরের শিরোপা উঁচু করে ধরতে টিকে আছে কেবল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ও কিলিয়ান এমবাপের ফ্রান্স। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৯টায় ফাইনালে মুখোমুখি হবে শক্তিশালী এই দুই দল। লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে ২৮ দিনব্যাপী চলমান এই ফুটবল মহাযজ্ঞের।
মরুরবুকে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে এবার যে খরচ হয়েছে, তা অতীতে আয়োজিত ২১টি আসরের মোট খরচের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। কাতার বিশ্বকাপে বর্তমান শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি সংবলিত বিশেষ বল, নতুন অফ সাইড টেকনোলজি, অতিরিক্ত খেলোয়াড়ের সংখ্যাবৃদ্ধিসহ অনেক নতুন নতুন নিয়মের সংযোজন করা হয়েছে। তবে শুধু আয়োজনের খরচ বাড়ানোই নয়, বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর পুরষ্কারের টাকার পরিমাণও বাড়িয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ৩২টি দলের জন্যই থাকছে নগদ পুরষ্কার ও অর্থ।
এইবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৪২ মিলিয়ন ইউএস ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪২০ কোটি টাকারও বেশি। তাছাড়াও রানার্সআপ দল পাবে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থান অর্জন করা লুকা মদ্রিচের দেশ ক্রোয়েশিয়া পাচ্ছে ২৭০ কোটি টাকা ও চতুর্থ স্থান অধিকারী মরক্কো পাবে ২৫০ কোটি টাকা। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া চারটি দল নেদারল্যান্ডস, ব্রাজিল, ইংল্যান্ড ও পর্তুগাল প্রত্যেকে পাবে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা করে। শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেওয়া ৮টি দল সেনেগাল, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও সুইজারল্যান্ড প্রত্যেকে পাবে সমান ১৩০ কোটি টাকা করে। এছাড়াও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া দলগুলো পাবে ৯০ কোটি টাকা করে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কাতার বিশ্বকাপের অফিশিয়াল প্রাইজমানির পরিমাণ-
চ্যাম্পিয়ন: ৪২ মিলিয়ন ইউএস ডলার (৪২০ কোটি টাকা)
রানার্সআপ: ৩০ মিলিয়ন ইউএস ডলার (৩০০ কোটি টাকা)
৩য় স্থান: ২৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার (২৭০ কোটি টাকা)
৪র্থ স্থান: ২৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার (২৫০ কোটি টাকা)
৫ম-৮ম স্থান: ১৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার (১৭০ কোটি টাকা)
৯ম-১৬তম স্থান: ১৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার (১৩০ কোটি টাকা)
১৭তম-৩২তম স্থান: ৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার (৯০ কোটি টাকা)।