অবশেষে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের নকআউটে গোল পেলেন লিওনেল মেসি। শনিবার দিবাগত রাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের হয়ে প্রথম গোল করেন তিনি। এ নিয়ে বিশ্বকাপে ৯টি গোল করলেন মেসি। এর মাধ্যমে ছাড়িয়ে গেলেন দিয়েগো ম্যারাডোনাকে। প্রয়াত দিয়েগো ম্যারাডোনা বিশ্বকাপে ৮টি গোল করেছিলেন। এই গোলের আগে মেসিও একই কাতারে ছিলেন। সকারুদের বিপক্ষে গোল পেয়েই বিশ্বকাপে নিজের দেশের হয়ে এককভাবে শীর্ষ গোলদাতা হলেন তিনি।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে দেখা যায় মেসি ম্যাজিক। বিশ্বকাপের নকআউটে প্রথম গোল করেন লিওনেল মেসি। কর্নার ফ্ল্যাগের কাছে আর্জেন্টিনার ফুটবলারকে ফাউল করায় ফ্রিকিক পায় আর্জেন্টিনা। ফ্রিকিক থেকে সরাসরি গোল না হলেও ফিরতি বল পান মেসি। ডি পলের সঙ্গে দেওয়া নেওয়া করে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের মাটি ঘেঁষা শটে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মেসি। ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেই হাজারি ক্লাবে ঢুকে গেলেন ৩৫ বছর বয়সী তারকা। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে মেসির এখন পর্যন্ত ১০০০ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা হলো।
এর মধ্যে মধ্যে বার্সেলোনার হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭৮টি ম্যাচ খেলেছেন মেসি। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ১৬৯টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড তার। হ্যাভিয়ের মাসচেরানোর ১৪৭টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড যা আগেই ভেঙে দিয়েছেন মেসি। এছাড়া পিএসজির হয়ে ৫৩টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা তো আছেই।
আন্তর্জাতিক পেশাদার ফুটবলে হাজারের বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ফুটবলারের সংখ্যা তেমন বেশি নয়। এরমধ্যে স্বদেশি হাভিয়ের জেনেত্তির রয়েছে ১১শর বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। যদিও জেনেত্তি খেলেছেন ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত।
নবচেতনা /এমএআর