হলিউডের থ্রিলার মুভি দেখেছেন নিশ্চয়। ক্ষণে ক্ষণে চমকে দেওয়ার মতো দৃশ্যপটের যেমন দেখা মিলে তেমনই এক চিত্রনাট্যের মঞ্চায়ন যেন দেখা গেল বিশ্বকাপের নবম দিনের প্রথম ম্যাচে।
জি গ্রুপের ক্যামেরুন-সার্বিয়ার লড়াই চমকে দিয়েছে ফুটবল বিশ্বকে। ৬ গোলের এই ম্যাচটি ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। সমর্থকদের মন ছুঁয়ে যাওয়া রোমাঞ্চকর ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ৩-৩ ব্যবধানে ড্র হয়।
ম্যাচটিতে দুই দলই আজ আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে ব্যস্ত করে রেখেছিল প্রতিপক্ষের ডিফেন্স। এরমধ্যে বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও শক্তিশালী আক্রমণে এগিয়ে ছিল আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুনই। ১৩টি আক্রমণ করে ৮টি শটই রেখেছে সার্বিয়ার গোলমুখে। অন্যদিকে ৬০ শতাংশ বল দখলে রেখে ১৫ আক্রমণ করে ৫টি শট গোলমুখে রাখতে পেরেছে সার্বিয়া।
ছয়জন ভিন্ন গোলস্কোরার ম্যাচে প্রথম জালের দেখা পায় ক্যামেরুন। ম্যাচের ২৯তম মিনিটে কর্ণার থেকে দারুণ এক হেডে আফ্রিকার দেশটিকে এগিয়ে দেন ডিফেন্ডার জ্যা-চার্লস কাস্তেলেত্তো। এই এক গোলের ব্যবধান নিয়েই বিরতিতে যাবে বলে মনে হচ্ছিল এশিয়ান সিংহরা।
তবে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ২ মিনিটের মধ্যে দুই গোল দিয়ে লিডে থেকে এগিয়ে যায় সার্বিয়াই। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ২-১ গোলে এগিয় থেকে বিরতিতে যায় সার্বিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে থেকে ফেরার আক্রমণের ধার ধরে রাখে সার্বিয়া। সেই ধারাবাহিকতায় ৫৩তম মিনিটে ৩-১ গোল ব্যবধানে এগিয়েই যায় দলটি। সার্বিয়ার হয়ে তৃতীয় গোলটি আসে আলেক্সান্ডার মিত্রোভিচের পা থেকে।
অপরদিকে মিছিয়ে পরে ম্যাচে ফেরার লড়াই চালিয়ে যায় আফ্রিকান সিংহরা। ৬৩তম মিনিটে ভিনসেন্ট আবু বকর গোল করে ব্যবধান কমায়। এর ঠিক দুই মিনিট পরে আবারও দৃশ্যপটে আবু বকর। এবার অবশ্য অ্যাসিস্ট করেন তিনি। তার পাস থেকে গোল করেন এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোতিং।
ম্যাচের বাকি সময় দুই দল একের পর এক আক্রমণ করলেও জয় নিজেদের দিকে টেনে নিতে পারেনি দুই দলের কোনও দলই। যার ফলে ৯০ মিনিট শেষে ৩-৩ গোলের সমতা নিয়ে শেষ করে দুই দল।