বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপির এই সমাবেশ সরকারের হৃদকম্পন বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের ছোট ভাই নয়নকে খুন করেছে। নয়নের রক্ত বৃথা যেতে দিব না। তার রক্তের বদলা হিসেবে দেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করে ছাড়ব। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো।
আজ শনিবার কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বিএনপির গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি, নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদে সারা দেশের ১০টি সাংগঠনিক বিভাগে এ গণসমাবেশ করছে বিএনপি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের কৃষক শ্রমিক আজ ভালো নেই।
পত্রিকায় আসছে সারা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশে গরুর মাংসের দাম বেশি। জিনিসের দাম কমে না। দাম বাড়ায় প্রতিবাদ করতে গেলেই গুলি করে বিএনপি নেতাকর্মীদের মারে। বিএনপির সমাবেশে আসতে দিবে না। তাই বাধা দেয়। তারা দুর্নীতি করে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হোক। তখন দেখা যাবে জনগণ খালেদা জিয়া, তারেক রহমানকে পছন্দ করে কিনা? এখন চাপা মারতেছেন সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আপনারা (আওয়ামী লীগ) একজনও জিতবেন না।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা সমাবেশ থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া হবে না, হতে দেওয়া হবে না।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুর রশিদ ইয়াসিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপেদষ্টা অধ্যাপক ডা. শাহিদা রফিক, মনিরুল হক চৌধুরী, উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশ পরিচালনা করছেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, কুমিল্লা উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সি, কুমিল্লা দক্ষিণ বিএনপি সদস্য সচিব মো. জসিম উদ্দিন। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর ও সিলেটে অনুষ্ঠিত ৭টি সমাবেশের পর আজ শনিবার কুমিল্লায় বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির ৮ম সমাবেশ।
নবচেতনা /এমএআর