কাতার বিশ্বকাপে ই গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল জাপান ও জার্মানি। ম্যাচে জার্মানরা ছিল ফেবারিট। শুরুতে এগিয়েও গিয়েছিল তারা। কিন্তু অদম্য মানসিকতায় ম্যাচটিতে শেষ হাসি হেসেছে জাপানিজরা।
আল রাইয়ানের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে জার্মানিকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে জাপান। জয়ী দলের হয়ে গোল করেন রিতসু দোয়ান ও তাকুমা আসানো। জার্মানদের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ইকাই গুন্ডোগান।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলতে গিয়ে গত বিশ্বকাপে চরম ভরাডুবি ঘটেছিল জার্মানির। এশিয়ান দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার কাছেও হেরেছিল তারা। এবার সেই ক্ষত শুকানোর মিশন নিয়েই কাতার খেলতে নামে জার্মানরা।
একদম শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে জার্মানি। একপর্যায়ে জাপানের ১২ শতাংশ বল দখলের বিপরীতে জার্মানি বল দখলে রেখেছিল ৭৮ শতাংশ। তবে প্রথম আঘাত হানার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছিল জাপানই।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটে অসাধারণ বিল্ড আপ থেকে জার্মানির জালে বল পাঠান জাপানের ফরোয়ার্ড মাইদা। তবে শেষ মুহূর্তে অফ সাইড হওয়ায় সেটি বাতিল হয়। এরপর অবশ্য জার্মানদের আক্রমণের ঝড় শুরু হয়।
প্রতিবারই দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতায় প্রতিপক্ষের শতগুলো ফেরাতে থাকেন জাপান গোলরক্ষক গুন্ডা। তবে ম্যাচের ৩১তম মিনিটে ভুল করে বসেন তিনি। জার্মান এক খেলোয়াড়কে ঠিকভাবে বাঁধা দেননি তিনি। যার ফলে পেনাল্টি পায় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি গুন্ডোগান। এরপর প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে জাপানের জালে বল পাঠান কাই হার্ভেজ। তিনি অফ সাইডে থাকায় সে যাত্রায় বেঁচে যায় জাপান। ফলে এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় জার্মানি।
দ্বিতীয়ার্ধে আরো উজ্জীবিত খেলা উপহার দিতে থাকে জাপান। ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে আসানোর দুর্দান্ত একটি শট আটকে দেন জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়াল নয়্যার। ফিরতি শট কাজে লাগাতে পারেননি কামাদা।
জার্মানির আধিপত্যের মাঝে ৭৫ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরান জাপানের দোয়ান। সেই ধাক্কা না সামলাতেই ৮৩ মিনিটে সুপার সাব আসানো লক্ষ্যভেদ করেন। সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে জাপান। অন্যদিকে হতাশায় মুষড়ে পড়ে জার্মানরা।
বাকি সময় রক্ষণে আর ভুল করেনি জাপান। রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে উৎসব শুরু হয় খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে জাপান পর্যন্ত। অন্যদিকে গ্রুপ অব ডেথে পরাজয়ের সঙ্গে দুশ্চিন্তা নিয়ে মাঠ ছাড়ে জার্মানি।
নবচেতনা /এমএআর