কোনো ঝামেলা না করে ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশের ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তারা (সরকার) এখনো সমাবেশের স্থান দেয়নি। দায়িত্ব এখন সরকারের, বিএনপি নিয়ম মেনে সমাবেশের আবেদন করেছে।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘দেউলিয়াত্ব ঘোচাতে দুর্ভিক্ষের নাটক? দেশ কোন পথে’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করেন নাগরিক ঐক্য।
মির্জা ফখরুল বলেন, সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্ট না দেখে আওয়ামী লীগ নেতারা মালয়েশিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুরের রঙিন জীবন দেখছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই দুর্ভিক্ষ হয়। আওয়ামী লীগের যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন, তাদের দুর্নীতি লুটপাট দুর্ভিক্ষের অন্যতম কারণ।
তিনি আরও বলেন, বিধবা ভাতা বা দুস্থ ভাতার ১০ থেকে ২০ শতাংশ কেটে নেয় আওয়ামী লীগ নেতারা। আওয়ামী লীগ এখন জাতির জন্য বোঝা হয়ে গেছে। এটা সরাতে না পারলে সবাই ডুবে যাব। জনগণকে রক্ষা করতে দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বাধা দেয়া এদের নিয়মে পরিণত হয়েছে। মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাদের আদালতে ব্যস্ত রাখছে। আওয়ামী লীগ সুপরিকল্পিতভাবে দেশের অর্জন নষ্ট করছে। আওয়ামী লীগ দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। এমন কোনো খাত নেই সেখানে দুর্নীতি হয় না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক পুরনো রাজনৈতিক দল, তাদের জনভিত্তি আছে কিন্তু ক্ষমতায় থাকার লালসায় তারা এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, নতুন করে গায়েবি মামলা শুরু করেছে। ককটেল ফাটানোর কথা বললেও যে ঘটনা কেউ শোনেনি, দেখেনি তা নিয়ে গায়েবি মামলা দিচ্ছে। পুরনো নাটক শুরু করেছে সরকার। যেনো বিএনপি মামলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে অন্যদিকে সরকার তার অপকর্ম করে যেতে পারে।
তিনি বলেন, সরকার পতনের আন্দোলন ভিন্নখাতে নিতেই আগুন সন্ত্রাস আর জঙ্গি নাটকের ধোয়া তুলছে ক্ষমতাসীনরা। দেশে জঙ্গি ছিনতাই নাটক তৈরি করা হচ্ছে উদ্দেশ্য জনগণের মূল দাবি ভিন্নখাতে নেয়া। সরকার হটাতে জনগণের ঐক্যের মধ্য দিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সরকারকে সরে যেতে হবে নতুন নির্বাচন দিতে হবে, কোনো দলীয় সরকার নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বক্তব্য রাখেন।