ইরানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করলেন ইংল্যান্ড। ইরানের জালে গুণে গুণে জড়িয়েছেন ৬ গোল। ম্যাচটা ইংল্যান্ড জিতেছে ৬-২ ব্যবধানে। লড়াইটা যে ইরানের রক্ষণ আর ইংলিশদের আক্রমণেরই হতে যাচ্ছে, তা অনুমিতই ছিল। তবে ৪ মিনিটের মাথায় সবাইকে চমকে দিয়ে ইরানই একটা সুযোগ পেয়ে বসেছিল, পেতে পারত পেনাল্টিও, যদিও শেষমেশ রেফারি তাতে সায় দেননি। এরপর ইংল্যান্ড একটা সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি।
তবে ইরান ম্যাচের ১০ মিনিটে বড় একটা ধাক্কা খায়। ডিফেন্ডার হোসাইনির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মাথায় আঘাত পান গোলরক্ষক আলী রেজা। এরপর মাঠে তার চিকিৎসা চলে বেশ কিছুক্ষণ। খেলা বন্ধ থাকে প্রায় ১০ মিনিটের মতো। শেষমেশ তাকে ছাড়তে হয় মাঠই।
অনাকাঙ্ক্ষিত সেই বিরতি শেষে ইরান আক্রমণে উঠেছিল একবার। তবে ইংলিশ রক্ষণকে খুব বেশি বিপদে ফেলতে পারেনি। এরপরই ইংল্যান্ড আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে। ৩২ মিনিটে হ্যারি ম্যাগুয়েরের হেডার গিয়ে প্রতিহত হয় ক্রসবারে। গোলটা যে খুব বেশি দূরে নেই, সেটাও আঁচ করা যাচ্ছিল তখন।
বিষয়টা নিশ্চিত করলেন জুড বেলিংহ্যাম। ৩৫ মিনিটে লুক শর ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে বলটা আছড়ে ফেলেন ইরানের জালে। ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ইংলিশরা।
প্রথম গোলের পরই যেন ইরানের বাঁধটা গেল ভেঙে। ৪৩ মিনিটে হ্যারি ম্যাগুয়েরের বাড়ানো বল থেকে দ্বিতীয় গোলটা করেন বুকায়ো সাকা। এরপর যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে হ্যারি কেইনের বাড়ানো নিচু ক্রসে গোল করেন রাহিম স্টার্লিং। তাতেই ৩-০ গোলে এগিয়ে, ইরানের মনোবল ভেঙে দিয়ে প্রথমার্ধ বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।
বিরতির পর গোল পেতে ইংলিশদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ম্যাচের ৬১ মিনিট পর্যন্ত। প্রথমার্ধে গোল করা বুকায়ো সাকা ইরান রক্ষণকে বোকা বানিয়ে বলটা জড়ান জালে। এর মিনিট চারেক পর মেহদি তারেমির দারুণ এক গোলে ব্যবধান কমায় ইরান।
তবে চার গোলের লিড ফিরে পেতে ইংলিশরা সময় নেয় মাত্র ৭ মিনিট। বদলি হিসেবে মাঠে নামার ৪৯ সেকেন্ডের মাথায় গোল করে বসেন মার্কাস র্যাশফোর্ড। তাতে বদলি হিসেবে বিশ্বকাপ ইতিহাসের তৃতীয় দ্রুততম গোলের কীর্তিও গড়ে বসেন তিনি। জ্যাক গ্রিলিশ ৮৯ মিনিটে গোল করে যোগ দেন এই গোল উৎসবে।
শেষ বাঁশির ঠিক আগে পেনাল্টি পায় ইরান। সেখান থেকে গোল করেন তারেমি। তাতে অবশ্য কেবল ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছে এশিয়ান দেশটি। ইংল্যান্ড ঠিকই ম্যাচটা শেষ করেছে ৬-২ গোলে জিতে, তুলে নিয়েছে তিন পয়েন্টও।
নবচেতনা /এমএআর