বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা আন্দোলন করবো এই সরকারকে সরাবো। এ সরকারকে সরানোর পরে আমরা আন্দোলনকারী সকল দলগুলোকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করব। তখন সমস্ত মানুষগুলোকে নিয়ে এদেশকে এরা (আওয়ামী লীগ) যে ডাস্টবিন বানিয়ে ফেলেছে, নর্দমা বানিয়ে ফেলেছে এটাকে পরিষ্কার করার জন্য সকলকে নিয়েই করতে হবে। আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে সংস্কার করতে হবে। প্রশাসন ব্যবস্থাকে সংস্কার করতে হবে।
প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। সত্যিকার অর্থে একটি আধুনিক জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, মানুষ কিন্তু পিছিয়ে নেই। প্রত্যেকটি সমাবেশে এই বৃদ্ধ বয়সে যা দেখলাম আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে, সেই মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়েই তাদেরকে পরাজিত করতে হবে।
সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে উত্তরবঙ্গ ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম এর এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এরা আজকে গোটা বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ধ্বংস করে ফেলেছে। যদি একটা জাতিকে ধ্বংস করতে হয় তার রাজনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করো, তার অর্থনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করতে হয় সেটাই তারা করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বালখিল্য আচরণ করে কেউ তাদের বিশ্বাস করে না। এরা মানুষকে মানুষ মনে করে না, এরা মনে করে বোঝা। দেশটাকে এরা পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে। যেভাবে পারবে সেভাবে লুট করবে কেউ কিছু বলতে পারবে না। চুরি করবে কেউ কিছু বলতে পারবে না। মানুষকে খুন করবে কেউ কিছু বলতে পারবে না।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বারবার করে বলছি, আবারো বলছি আমাদের ৩৫ লাখ নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছো। আমাদের সাতজন যোদ্ধা প্রাণ দিয়েছে। এই মূল্য অবশ্যই তোমাদেরকে দিতে হবে। এখনো সময় আছে সরে দাঁড়ান। তা না হলে জনগণের যে উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে সুনামির মত আপনাদেরকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।
সংগঠনের উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য কাদের গনি চৌধুরী, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।