বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে উত্তরায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল একথা বলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রবিবার বিকাল তিনটা দিকে উত্তরা সোনার গাঁও জনপথ সড়কে আয়োজিত আওয়ামীলীগের সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন,আমাদের ইতিহাসের মহাবীর মহানায়ক জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামানের ওমর সৃতির সদ্দা চিত্তে স্বরণ করছি, স্বাধীনাতর মুক্তিযুদ্ধেও যাদেও আত্মবলিদান দিয়েছেন তাঁদের স্বরণ করি। স্বরণ করি পচাত্তরের ১৫ ই আগস্টে যাদের রক্ত ঝরেছিল। স্বরণ করি তার সারা জীবনের সহকর্মি ও সহ যোদ্ধা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব তাকে আমি আবার স্বরণ করছি। খেলা হবে, হবে খেলা, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, দুর্নিতীর বিরুদ্ধে, দু:শাসনের বিরুদ্ধে, ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে, খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে, খেলা হবে রাজ পথে, খেলা হবে নির্বাচনে, নির্বাচনে মোকাবিলা হবে আগামী ডিসেম্বরে। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর মাস। খেলা হবে বঙ্গবন্ধুর বিজয়ের মাসে।শেখ হাসিনার বিজয় চেতানার মাস। খেলা হবে।ফখরুল ভাই বড় বড় কথা বলছে,এখন বলে লন্ডনের পোলাটা আর রাজনীতি করবে না,মুচলেখা দিয়ে চলে গেছে। কে? তারেক রহমান, তারেক রহমানের নেতৃত্তে ফখরুল নাকি দ্বিতীয় স্বাধীনতা আনছে।বাংলাদেশ কি দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছিল? বাংলাদেশকি দ্বিতীয়বার স্বাধীন হবে? এরা স্বাধীনতার শত্রু, বিএনপি স্বাধীনতার শত্রু।এদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। তাদের বিরুদ্ধে মোকাবেলা হবে। বিজয়ের মাসে প্রস্তুত হয়ে যান। খেলা হবে, প্রস্তুত হয়ে যান।আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, স্বড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। আজ আমাদের গণতন্ত্র, এই গণতন্ত্র বিএনপি গিলে খেয়েছে। গিলে টেনে খেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ গিলে খেয়েছে,স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব গিলে খেয়েছে। আইনের শাসন গিলে খেয়েছে, আরেকবার ক্ষমতায় গেলে বিএনপি বাংলাদেশ গিলে খাবে। খেলা হবে, খেলার বিকল্প নেই। খেলা মানে গণতন্ত্র,খেলা মানে মারামারি নয়। আগুন নিয়া আসলে খেলা হবে ।আগুন নিয়ে আসলে আগুন নিয়ে খেলতে হবে। যারা রাস্তায় আসবে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। এরা কারা আগুন নিয়ে খেলতে আসে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে, আগুন নিয়ে খেলতে দেবনা। বাংলার মাটিতে আগুন নিয়ে খেলতে দেব না। লাঠি নিয়ে খেলতে দেবনা।রাজনীতি রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করতে চাই। এই নিয়ম ভঙ্গ করলে খবর আছে। ফখরুল সাহেব বলে, আমরা আর লাল কাড দেখাবো না, তারা ঠিকই রাজপথ দখলে আসবে। এই রাজপথ দখলের বিরুদ্ধে আপনারা প্রস্তুত থাকেন।আওয়ামীলীগ রাজপথে থাকবে। কেউ খেলতে আসলে তার জবাব দেয়া হবে আপনারা প্রস্তুত হয়ে যান। আমি সাংবাদিক ভাই বোন দের বলতে চাই, সিলেটের সমাবেশ আর এখানে ছয় থানার সমাবেশ। প্রিয় ভাই ও বোনেরা কঠিন স্বড়যন্ত্র চলছে। আমি বলতে চাই, বাংলাদেশে দূর্ভিক্ষ্য হবে না । তত্তাবধায়কের স্বপ্ন ছেড়ে দিন। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতার পালাবদল ছাড়া কোন সুযোগ নেই। আমি একদিন প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপ্নি কত ঘন্টা ঘুমান, তিনি বলেন সাড়ে তিন ঘন্টা।তিনি কাউকে ভয় পান না।আপনি ভয় দেখাচ্ছেন, শেখ হাসিনা কাউকে ভয় পায় না। খেলা হবে। জয় বাংলা জয় বংবন্ধু। গণতন্ত্রের শত্রু ও স্বাধীনতার শত্রুর বিরুদ্ধে খেলা হবে। সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মির্জা আজম (এমপি)। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নাজিম উদ্দিন আহমেদ,মফিজ উদ্দিন।সাধারন সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসান এমপি, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান মতি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধ আলহাজ্ব এসএম তোফাজ্জল হোসেন,শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব খসরু চৌধুরী।