বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের ৯নং সেক্টর কমান্ডার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) এম.এ জলিলের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এক সমাবেশের আয়োজন করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ- শাজাহান সিরাজ) আজ সকাল ১১ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্ত্বর, ঢাকায়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ- শাজাহান সিরাজ) এর সভাপতি আবদুল জলিল।
বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ- শাজাহান সিরাজ)এর সহ সভাপতি ও কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এম.এ ভাসানী, কেএসপি’র সভাপতি সিরাজুল হক, বাংলাদেশ ন্যাপের সহ সভাপতি স্বপন কুমার সাহা, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক তাজুল ইসলাম, ন্যাপ ভাসানীর সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ, বরিশাল বিভাগ সমিতির সদস্য মুকিম হক, নারী নেত্রী এলিজা রহমান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ- শাজাহান সিরাজ) এর সহ সভাপতি এম.এ জব্বার, বরিশাল বিভাগ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.স.ম মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
সভাপতির ভাষণে আবদুল জলিল বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ৯নং সেক্টরের কমান্ডার ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব) এম.এ জলিল যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা হল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার অসাম্প্রদায়িক ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়া। সেই লক্ষ্যেই তিনি জাসদ গঠন করেছিলেন এবং তার স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিহত করা এবং আওয়ামী লীগের ভিতরে থাকা মোস্তাক গংদের প্রতিহত করা।
কিন্তু রাজনীতির ভুল বোঝাবুঝির কারণে বঙ্গবন্ধুর হত্যার সময় মেজর জলিল কারাগারে বন্দী ছিলেন। তিনি সঠিক ভূমিকা রাখতে পারেন নাই। আজকের এই সমাবেশ থেকে আমাদের দাবী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাংলাদেশ গড়তে হলে আগামীতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ^াসী সবার ঐক্য। যেই ঐক্যের মাধ্যমে দেশ হবে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ, ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত।