তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের মোট জ্বালানির ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার। এ উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রয়োজন আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক সহায়তা।
মিশরের শারম আল শাইখ নগগরীতে চলমান ২৭তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে মূল সম্মেলনের পাশাপাশি বুধবার সকালে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত ‘টেকসই জ্বালানি খাতের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি: প্রেক্ষিত বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট’ সেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. হাছান এ কথা বলেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার সেল মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইনের সভাপতিত্বে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি বিশেষ অতিথি, ইন্টারন্যাশনাল সোলার এলায়েন্সের মহাপরিচালক ড. অজয় মাথুর এবং জিআইজেডের শক্তি বিশেষজ্ঞ মার্টিন লিয়াম্বাই প্যানেলিস্ট হিসেবে সেশনে যোগ দেন।
এ দিন বিকেলে ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি গবেষণা প্রকল্পের সূচনা: দক্ষিণ বিশ্বের ক্ষতিপূরণ সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক সেশনেও প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন পরিবেশ রসায়নে পিএইচডি হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা চিহ্নিত করা ও তা পূরণের জন্য অভিযোজন ও প্রশমনের সুনির্দিষ্ট পন্থা এখনো নিরূপিত হয়নি। তবে এবারের জলবায়ু সম্মেলনে এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আলোচিত হচ্ছে, যা আশাব্যঞ্জক।
পরিবেশবিদ ড. সেলিম উল হকের সঞ্চালনায় পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. নিজাম আর খান, ড. ভীম অধিকারী এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ উপদেষ্টা মাধব কার্কি প্রমুখ সেশনে বক্তব্য রাখেন।
নবচেতনা /আতিক