বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের মানুষ আজ জেগে উঠেছে। কোন বাধাই কাজে আসছে না। এ লড়াই গণতন্ত্র উদ্ধারের লড়াই, মুক্তির লড়াই। এ সংগ্রামে জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে, সকল রাজনৈতিক দলকে এক হতে হবে; জাতিকে এ সরকার থেকে উদ্ধার করতে হবে। সরকারের দমনপীড়নে গণজাগরণ দমানো যাবে। বিএনপির ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গণতন্ত্র উদ্ধারে চলমান আন্দোলনে মামলা দেয়া হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে। আমাদের কি দমিয়ে রাখতে পেরেছে? দেশের মানুষকে দমিয়ে রাখতে পেরেছে? পারেনি আর পারবেও না। রোববার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সহধর্মিনী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এ সমাবেশ হয়।
যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ফজলুল হক মিলন,শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কামরুজ্জামান রতন, সাইফুল আলম নিরব, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নু, মামুন হাসান, ইসাহাক সরকার, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
ফখরুল বলেন, যারা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কথা বলেন তাদের আমি গুরুত্ব দেই না। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য ওয়ারেন্ট,মামলা ও সাজা রয়েছে। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাতে কী তারেক রহমান সাহেবের কিছু যায় আসে। আর আমাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দিয়ে তাকে গৃহে বন্দি করে রাখা হয়েছে। একটা কথা আছে,সাগরে পেতেছি শয্যা,শিশিরে কি ভয়। আরে আমি তো সমুদ্রে বাসা বেঁধেছি, সেখানে এক কোনে শিশিরে আমি ভয় পাই না। আজকে সারা দেশের মানুষ ওই শপথ নিয়ে জেগে উঠেছে যে, এ ভয়াবহ সরকারকে তারা হঁটাবেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা তারেক রহমান সাহেবকে ফিরিয়ে আনব, এদেশের মানুষ ফিরিয়ে আনবে রাষ্ট্র নায়কের মতো করে, জোবাইদা রহমানকে ফিরিয়ে আনবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে।এবার ইনশাআল্লাহ আমরা বিজয় ছিনিয়ে আনব।