আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের মানুষ কোন বিপদে নেই, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিকে নিয়েই দেশের মানুষ বিপদে আছে।
আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এস কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ মনে করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য বড় হুমকি হচ্ছে বিএনপি। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র বিএনপির হাতে নিরাপদ নয়, বিএনপি তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব ঘোচানোর জন্য কখন কি ঘটিয়ে বসে তা নিয়ে জনগণ দুশ্চিন্তায় আছে।
‘দেশ গভীর সংকটে আছে’, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংকটে দেশ নয়। গভীর সংকটে আছে বিএনপি, সংকটে তাদের পরাশ্রয়ী রাজনীতি। বিএনপি প্রতিদিন আন্দোলনের হুমকি দেয় কিন্তু তাদের আন্দোলনের নেতা কে সেটাই তারা জানে না। বিএনপির চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দুজনেই দন্ডপ্রাপ্ত, একজন এতিমের টাকা আত্মসাৎ করায় দন্ডপ্রাপ্ত। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মহানুভবতায় ঘরে বসে চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আর একজন রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে কাপুরুষের মত বিদেশে পালিয়েছে এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। নিরাপদ দুরত্বে থেকে নিজে বিলাসী জীবন-যাপন করছে আর নেতাকর্মীদের চাঙা করতে দূর থেকে শব্দ বোমা ছুঁড়ছে, স্বপ্ন দেখছে ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসনের।
দেশের জনগণ আর পিছনে ফিরে যেতে চায় না, বিএনপি তাদের দুর্নীতির বরপুত্র, হাওয়া ভবনের স্রস্টা, দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমানকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, দেশে বর্তমানে গণতন্ত্রের কোন সংকট নেই। সংকট বিএনপির মনস্তত্ত্বে। বিএনপি সবসময় তাদের বক্তব্যে কৃত্রিম সংকটের গন্ধ পায়, তারা স্বাধীনতা গেল বলে হা-হুতাশের রাজনীতি করে। বিএনপিকে এই সংকট থেকে উত্তরণে অপরাজনীতির কৌশল পরিহার করতে হবে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশা প্রকাশ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধারণ করে বিএনপি সঠিক পথে ফিরে আসলেই তা হবে দেশের রাজনীতির জন্য সহায়ক।
নবচেতনা / আতিক