দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-২০তে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে দাপুটেভাবেই সিরিজ জয় করলো বাংলাদেশ। ২-০ ব্যবধানে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশও করে ফেলেছে টাইগাররা।
প্রথম ম্যাচে জয়টা একটু কষ্ট করে পেলেও এবার বড় জয়ই পেল বাংলাদেশ। ব্যাট হাতের মোটামুটি মানের সংগ্রহের পর বোলাররা এনে দিয়েছেন এই জয়।
দুবাইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে ৩২ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে স্বাগতিকদের সামনে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানের সংগ্রহ দেয় সফরকারীরা। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানের বেশি করতে পারেনি আরব আমিরাত।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন আমিরাত অধিনায়ক চুনদালগ্যাপোইল রিজওয়ান। দুই পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামের জায়গায় খেলছেন এবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদ।
বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দলকে শুরুটা ভালোই এনে দেন তারা। প্রথম তিন ওভার শেষে দলের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ২৬ রান।
চতুর্থ ওভারে এসে আরিয়ান লাকরার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন সাব্বির। এর আগে ৯ বলে ১২ রান করেন তিনি। এরপর মিরাজ-লিটনের ৪১ রানের জুটিতে ভালোভাবেই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু নবম ওভারে যেন উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন লিটন।
আয়ান আফজালের গুড লেংথের বলটি কভার অঞ্চল দিয়ে উঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন লিটন। তবে বল সোজা চলে যায় মেইয়াপ্পানের হাতে। সাজঘরে ফেরার আগে ২০ বলে ২৫ রান করেন লিটন দাস।
আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় আফিফ হোসেন এদিন বেশি কিছু করতে পারেননি। আয়ানের বলে লং অফে মেইয়াপ্পান দুর্দান্ত ডাইভে বলটি তালুবন্দী করেন। আফিফ করেন ১০ বলে ১৮ রান।
অপর প্রান্তের ব্যাটারদের কেউ না পারলেও ঠিকই বড় ইনিংসের পথে এগোচ্ছিলেন মিরাজ। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি থেকে মাত্র চার রান দূরে থাকতে আম্পায়ারের হাস্যকর ভুলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। তার ৪৬ রানের ইনিংসটি ক্যারিয়ার সেরা।
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ২৭ রানে আউট হন। শেষদিকে ইয়াসির আলী রাব্বি ও নুরুল হাসান সোহানের দুই ক্যামিও ইনিংসে টাইগারদের বড় সংগ্রহ নিশ্চিত হয়। এই দুজন যথাক্রমে ২১ ও ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন।