লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়াতে চান বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ইংলিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরী। আর সেটা করতে পারলে তিনি খুবই গর্বিত ও সম্মানিতবোধ করবেন। ব্রিটিশ স্পোর্টস চ্যানেল স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
২৪ বছর বয়সী হামজাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে আপনি বাংলাদেশের হয়ে খেলার বিষয়টি নিয়ে কখনো ভেবেছেন কিনা? প্রশ্নের জবাবে হামজা বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি ভেবেছি। অবশ্যই আমি বিষয়টি নিয়ে ভেবেছি। আমি আসলে দেখতে চাই পরবর্তী কয়েক বছরে কেমন খেলি। তবে আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারলে খুবই গর্বিত হবো, খুবই সম্মানিতবোধ করবো। সেখানে নিয়মিত যেতে পারলে খুব ভালো লাগবে।’
হামজার বাবা গ্রেনাডিয়ান, আর মা রাফিয়া চৌধুরী বাংলাদেশি। হামজার নানা বাড়ি সিলেটের হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের বনগাঁও গ্রামে। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে তার শেকড়ের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ আছে। তিনি তার সন্তানদের বাংলাদেশ ঘুরিয়ে দেখাতে চান।
হামজা তার অভিজ্ঞা বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চান, তাদের সমৃদ্ধ করতে চান, ‘বাংলাদেশের প্রতি আমি গভীর টান অনুভব করি। আমি বাংলাদেশকে সাহায্য করতে চাই আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে। যদি আপনি কঠোর পরিশ্রম করেন, তাহলে সাফল্য পাবেন, লাভবান হবেন। আমি চাই আমার অভিজ্ঞতা অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে এবং তাদের নিয়ে একসঙ্গে খেলাটা উপভোগ করতে।’
তিনি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশে আসতে চান এবং এখানকার পরিবেশ দেখতে চান। তার সন্তানদের নিয়ে কিছুদিন বাংলাদেশে কাটাতে চান, ‘সম্ভবত শীতের ছুটির সময় আমি বাংলাদেশে যাব। আমি আমার সন্তানদের আমার শেকড়ে নিয়ে যেতে চাই। আমার শৈশবের কিছুটা স্মৃতি তাদের দেখাতে চাই। আগে আমরা প্রতি বছর বাংলাদেশে যেতাম। তখন অবশ্য আমি একা ছিলাম। বাংলাদেশ অন্যরকম একটা জায়গা।’
ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী লেস্টার সিটির একাডেমির গ্রাজুয়েট। তিনি ২০১৫ সালে একাডেমি থেকে লেস্টার সিটিতে যোগ দেন। সেবার দলের হয়ে এফএ কাপ জিতেন। এরপর ২০১৬ সালে ধারে বার্টন আলবিয়নে যোগ দেন। চলতি বছর তিনি ধারে যোগ দিয়েছেন ওয়াটফোর্ডে। এছাড়া তিনি ২০১৮-২০১৯ সালে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলেছেন।