পাকিস্তানকে ২৩ রানে পরাজিত করে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে শ্রীলঙ্কা। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫৮ রানে ধসে যায় শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার। ৫৮ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত ১৭০ রান তুলতে সক্ষম হয়। চ্যালেঞ্জিং এই স্কোরের পিছনের কারিগর ভানুকা রাজাপাকসে। তার অপরাজিত ৪৫ বলে ৭১ রানের ইনিংসে ভর করেই এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তোলে শ্রীলঙ্কা।
তবে বোলিং করতে এসে শুরুতেই বড় বিপাকে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। ১৭১ রানের টার্গেট নিয়ে পাকিস্তান যখন ব্যাট করছিল, লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা তখন প্রথমে বল তুলে দেন বাঁহাতি পেসার দিলশান মাদুশাঙ্কার হাতে। নিজের প্রথম বড় কোনও আসরের ফাইনাল ম্যাচ এটি তার। ২১ বছর বয়সী পেসার সেই চাপ নিতে পারেননি। স্নায়ুযুদ্ধে এলোমেলো হয়ে প্রথম ওভার শেষ করেন ১১ বলে!
প্রথম বৈধ বল করার আগেই ২২ গজে হাত ঘুরান পাঁচবার। ষষ্ঠ বলে খোলেন বৈধ বলের খাতা। শুরুটা নো বলে। পরের চার বল ওয়াইড। তৃতীয়টিতে আবার বাই চার। মানে প্রথম বলের আগেই পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে রান ৯ রান!
ষষ্ঠবারের মতো মাদুশাঙ্কা যখন দৌড়ালেন তখন করতে পারলেন প্রথম বৈধ বল। পাকিস্তানের ওপেনার রিজওয়ান অনসাইডে বল পাঠিয়ে পেয়ে যান ১ রান।
ক্রিকইনফোর ধারাভাষ্যকার মজা করেই লিখেন, “আমরা দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রথম বৈধ বলের দেখা পেলাম।”
মাদুশাঙ্কা ওই ওভারে আর কোনও অতিরিক্ত রান দেননি। পরের পাঁচ বলই ছিল বৈধ। সব মিলিয়ে পাকিস্তান ১২ রান পায় মাদুশাঙ্কার দীর্ঘতম ওভার থেকে।
পরের দুই ওভারে তার ওপর ভরসা রেখেছেন দাসুন শানাকা। পাওয়ার প্লে’র পরের দুই ওভারে দিয়েছেন ১২ রান। সব মিলিয়ে ৩ ওভারে ২৪। তবে শুরুটা বাজে হলেও প্রতিশ্রুতিশীল এ পেসার নিজের ছাপ রাখেন পরবর্তীতে। যদিও তাকে আর চতুর্থ ওভার করতে দেননি অধিনায়ক।