এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শাষরুদ্ধকর ম্যাচে আফগানিস্তানকে ১ উইকেটে হারিয়েছে ফেবারিট পাকিস্তান। এর ফলে এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলংকার মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
আফগানদের দেয়া ১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ২ উইকেট হারিয়ে ছন্দ হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। শুরুতেই বাবরের উইকেট হারায় পাকিস্তান। কোনো রানের খাতা খোলার আগেই শুরুর ওভারের ২য় বলেই বাবর আজমকে এলবির ফাঁদে ফেলেন ফজল হক ফারুকী। এরপরই রান আউটের ফাঁদে পড়েন ৫ রান করা ফখর জামান।
আগের দুই ম্যাচে অর্ধশতক পাওয়া মোহাম্মদ রিজওয়ানও ইনিংস বেশি বড় করতে পারেননি, ২৬ বলে ২০ রান করে বিদায় নেন দলীয় রানের অর্ধশতকের আগেই।
এরপর দলের হাল ধরেন ইফতিখার আহমেদ ও শাদাব খান। চতুর্থ উইকেটে দুজনের ৪২ রানের জুটি ভাঙে ৩৩ বলে ৩০ রান করে ইফতিখার বিদায় নিলে। শেষ ৪ ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৯ রান।
শেষ দিকে শাদাবের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। এতে ম্যাচ পেন্ডুলামের মতো ঝুলতে থাকে। শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১১ রান, হাতে ছিল ১ উইকেট। নাসিম শাহ প্রথম দুই বলেই দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে এনে দেন অবিশ্বাস্য ও শ্বাসরুদ্ধকর জয়।
এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আফগানদের শুরুটা মন্দ হয়নি। ২৯ বলে দলটির দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ আর হজরতউল্লাহ জাজাই শুরুর দুই ওভারে তুলে নেন ২০ রান। ২২ বলে তুলে ফেলেছিলেন ৩৫ রান। এরপরই ফেরেন গুরবাজ। হারিস রউফের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর মোহাম্মদ হাসনাইনের শিকার হয়ে জাজাইও ফিরলেন দলীয় ৪৩ রানে। দলটির ছন্দপতন ঘটক এরপরই।
পাওয়ার প্লেতে ৪৮ রান করা আফগানদের এরপর চেপে ধরেন পাক বোলাররা। যার ফলে রানের গতিও ক্রমে নেমে আসতে থাকে দলটির। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর আফগানরা তৃতীয় উইকেট খুইয়েছে ১২তম ওভারে গিয়ে। তবে পাক বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মোহাম্মদ নবীর দল রানের চাকা ঘোরাতে পারেনি তেমন, ফলে রান রেটটাও আর সাতের ওপর ওঠেনি।
চারে উঠিয়ে আনা করিম জানাত ১৯ বলে ১৫ রান করে আউট হওয়ার পর নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবীরাও তেমন কিছু করতে পারেননি। ৯১ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে আফগানরা পড়ে দারুণ বিপদেই। এরপর দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ইব্রাহিম জাদরানও ফেরেন ৩৭ বলে ৩৫ রান করে। ইনিংসের তখন বাকি মাত্র ২১ বল।
ইনিংসের বাকি সময় আর উইকেট খোয়ায়নি আফগানরা। তবে রানও করতে পারেনি খুব একটা। শেষ দিকে রশিদ খান আর আজমত উল্লাহর ওয়ানডে মেজাজে খেলা দুটি ক্যামিও তাই কেবল ১২৯ রানের পুঁজিই এনে দিতে সক্ষম হয় আফগানিস্তানকে।