বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেকবার ভারত সফরে গিয়ে দিয়ে আসেন, কিছু নিয়ে আসতে পারেন না।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভার আয়োজন করে সাইফুর রহমান স্মৃতি পাঠাগার।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সুতরাং একই পয়েন্ট, তিনি আগে ঘুরে আসুক। কী আসে দেখি। তারপর কমেন্ট করবো।
আমরা আজকে অত্যন্ত কঠিন সময় অতিক্রম করছি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ সময় সাইফুর রহমান আমাদের সঙ্গে থাকলে রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতা করতেন। আওয়ামী লীগ সরকার যে এখন একটি ভ্রান্ত উন্নয়ন দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে, সেটার আসল চেহারা উদঘাটন করতে সক্ষম হতেন তিনি। এই সরকারের যে মূল চেহারা সেটাকেও উন্মোচন করতেন তিনি।
রিজার্ভ সংকট, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, যে কাজটা দশ হাজার টাকায় করা যায়, সেটা তারা পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ করে করছে। বাকি চল্লিশ হাজার টাকা সরকার নিজেরা চুরি করে খাচ্ছে।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাইফুর রহমান পড়াশোনা করেছিলেন হিসাববিজ্ঞানের ওপর। সে কারণেই কোনটা করলে লাভ হবে, আর কোনটা করলে লাভ হবে না, আর কোনটা করলে দেশ ঋণগ্রস্ত হবে সেটা তিনি ভালো জানতেন। আর কোনটা করলে অনেক বেশি লাভবান হব, সেটা তিনি খুব ভালো করে জানতেন। সেই কারণে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
সাইফুর রহমান যে কাজটা দেশের জন্য ভালো মনে হতো সেটাই করতেন বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আর সেই কাজটা করার জন্য যা যা করা দরকার, তাই করতেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজ যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় রয়েছে, তারা ইভিএমের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার পাঁয়তারা করছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, দলীয় নেতাদের লুট করা, লুট করে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করা, ধনী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। সাইফুর রহমান ইচ্ছে করলে এই সুযোগ করে দিতে পারতেন, কিন্তু একটি লোককেও এই সুযোগ করে দেননি। কেন দেননি, দেশের জনগণের কথা চিন্তা করে।
আজকে দেশের অর্থনীতিকে লুটপাট করে দেউলিয়া করে ফেলেছে বলে দাবি করে মোশাররফ বলেন, সাইফুর রহমান বেঁচে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামতেন। আমাদের দেশ ও জাতির অধঃপতন হয়েছে। এই লুটেরা সরকার থেকে, ভোট ডাকাত সরকার থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে, দেশের কথা চিন্তা করে তাদের ক্ষমতা থেকে হটাতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
স্মরণ সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি আসেনি। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ।