জয় দিয়ে এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করল ভারত। দুই বল বাকি থাকতেই পাঁচ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে দিলেন রোহিত শর্মারা। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন হার্ডিক পান্ডিয়া।
জেনে নিন কোন পাঁচ কারণে ভারতের কাছে হেরে গেল পাকিস্তান?
ভুবনেশ্বর কুমারের দুর্দান্ত বোলিং: জাসপ্রীত বুমরাহ চোটের কারণে দলে নেই। ফলে দলের একমাত্র অভিজ্ঞ বোলার হিসেবে ভুবনেশ্বর কুমারের উপর চাপ ছিল। সেই পরিস্থিতিতে জ্বলে উঠলেন ভুবি। বাবর আজমকে একেবারে চমকে দিয়ে বাউন্সারে আউট করেন তিনি, যে ধাক্কা পাকিস্তান আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি। চার ওভারে ২৬ রান দিয়ে চার উইকেট নেন ভুবনেশ্বর।
হার্ডিক পান্ডিয়ার দুর্ধর্ষ বোলিং: তিনটা দুর্ধর্ষ বাউন্সারে যে তিনটি উইকেট পান হার্ডিক, তা পাকিস্তানকে পুরো ধসিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর কেন হার্ডিককে (পুরো ফিট হননি) নিয়ে রবি শাস্ত্রী আক্ষেপ প্রকাশ করেন, তা আবারও বুঝিয়ে দিলেন। হার্ডিকের জন্যই ১২ ওভারে ৮৭ রানে দু’ উইকেট থেকে ১৪.৩ ওভারে পাঁচ উইকেটে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৯৭ রান। হার্ডিক চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন।
হার্ডিক পান্ডিয়ার অসাধারণ ব্যাটিং: প্রবল চাপের মুখে নেমে ১৭ বলে অপরাজিত ৩৩ রান করে ভারতকে জেতালেন হার্ডিক। বিশেষত শেষ ১১ বলে ২০ রান বাকি থাকা অবস্থায় ১৯তম ওভারে তিনটি চার মেরে ভারতকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যান তিনি। শেষ ওভারে রবীন্দ্র জাদেজা আউট হয়ে যাওয়ার পর যেভাবে ঠাণ্ডা মাথায় ভারতকে জেতালেন, তাতে এই ম্যাচ জয়ের সব থেকে কৃতিত্ব প্রাপ্য হার্ডিকের।
শেষ তিন ওভারে ৩০ গজের বৃত্তে পাঁচজন ফিল্ডার: আইসিসির নয়া নিয়ম অনুযায়ী, স্লো ওভার রেটের ক্ষেত্রে টি-টোয়েন্টিতে শেষ কয়েকটি ওভারে ৩০ গজের বৃত্তের মধ্যে পাঁচ ফিল্ডারকে রাখতে হবে। পাকিস্তানকে তার ফল ভুগতে হয়। টানটান উত্তেজনার মধ্যে বাউন্ডারিতে একজন ফিল্ডার কম থাকায় বাড়তি সুবিধা পায় ভারত। বিশেষত হার্ডিকের শেষ চারটি বাউন্ডারির ক্ষেত্রে সেটা বলাই যায়।
জয়ের কৃতিত্ব প্রাপ্য জাদেজারও: শেষ ওভারে খুব বাজেভাবে আউট হলেও ভারতের জয়ের কৃতিত্ব প্রাপ্য জাদেজারও। চাপের মুখে ২৯ বলে ৩৫ রান করে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। তার দুই ছক্কা এবং দুই চারের কারণে ম্যাচে বেশি পিছিয়ে পড়েনি ভারত।