রাজধানীর ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভার দ্বারা নির্যাতনের শিকার দুই ছাত্রীকে স্থানীয় অভিভাবকের বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে ছাত্রী নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিভার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। তবে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন রাজিয়া বেগম ছাত্রীনিবাসের প্রাধ্যক্ষ নারগিস রুমা। ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী রাজিয়া বেগম ছাত্রীনিবাসের বাসিন্দা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই ভুক্তভোগী ছাত্রীর এক সহপাঠী বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার হওয়া দুই ছাত্রীকে মঙ্গলবার রাতেই হল থেকে স্থানীয় অভিভাবকের বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় হল প্রাধ্যক্ষ নারগিস রুমা ম্যাম আর কলেজ অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া (সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য) ম্যাম তাদের হল গেট পর্যন্ত দিয়ে আসেন। অথচ অভিযুক্ত তামান্না জেসমিন রিভার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলো না। ভুক্তভোগীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হলো’।
প্রাধ্যক্ষ নারগিস রুমা গণমাধ্যমকে জানান, ‘ইডেন কলেজে আমাদের অনেক ছাত্রী মাঝেমধ্যে হল থেকে বের হয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় যায়। তখন তো তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করা হয় না। ওই দুই ছাত্রীকে বের করে দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। হল ছেড়ে যে কেউ আত্মীয়ের বাসায় যেতে পারে। এক্ষেত্রেও এমনটাই ঘটেছে’।
সম্প্রতি ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভার একটি অডিও ফাঁস হয়। সেখানে ‘ছাত্রীদের পা টেনে ছিড়ে ফেলা’র হুমকি দিতে শোনা যায় তাকে। ওই অডিও ফাঁস হওয়ার পর ক্ষমা চান রিভা। কিন্তু এরপরপরই ছাত্রীদের ‘বিবস্ত্র করে নির্যাতন’র অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। তবে এমন অভিযোগ ‘বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেছেন তিনি।
রিভা বলেন, ‘‘বিএনপি-জামায়াত চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কলেজের দখল নিতে আমার ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নাটক তৈরি করছে। যারা অডিও ফাঁস করেছে তাদের সঙ্গে দেখা বা কথা বলার মতো সময় ছিল না। প্রোগ্রামটা যাতে করতে না পারি এজন্য কয়েকজন নেত্রী উঠেপড়ে লেগেছিল। যারা বিএনপির এজেন্ট, নানা ধরনের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তারা আমাদের বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। সব ডিজিটাল কারসাজি, মিথ্যাচার। আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। ছাত্রলীগ ও আমাকে হেয় করতে এসব করা হচ্ছে। আমি এর নিন্দা জানাই’’।