জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনুকুল ইসলাম শ্রাবণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি ‘ডিপফেইক এডিট টেকনোলজি’ ব্যবহার করে করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি। এটি এক ধরনের নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ড বলে মনে করে ছাত্রদল।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল সংগঠনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব অভিযোগ করেন।
ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, ‘ছাত্রদলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, এই ধরনের সভ্যতা বিবর্জিত হীন ও ঘৃণ্য অপচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করা যাবে না। কেননা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের আইকন কাজী রওনুকুল ইসলাম শ্রাবণ রাজপথের পরিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত ছাত্রনেতা। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী গুজব চক্রের কোনো অপচেষ্টাই সফল হবে না; আমরা সফল হতে দেব না।’
অভিযোগ করে বিবৃতিতে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের চেহারার মিল রেখে কোনো একজনের শরীরে মুখাবয়ব প্রতিস্থাপনের মধ্যদিয়ে ডিপফেইক এডিট টেকনোলজি ব্যবহার করে আওয়ামী কুচক্রী মহল একটি ভিডিও ভাইরাল করছে। যা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা, ভুয়া ও জাল-জালিয়াত ছাড়া কিছু না।’
তিনি বলেন, ‘সার্বভৌম দেশের অবৈধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক দাসত্বের শর্তে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার ভারতের আশীর্বাদ লাভের তথ্য ফাঁসের ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিক্রিয়া ও গণধিক্কার জানানো হচ্ছে। এটি ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা হিসেবে আওয়ামী গুজব চক্রবাজেরা ডিপফেইক টেকনোলজি সিস্টেম ব্যবহার করে ছাত্রদল সভাপতির চরিত্র হননের নিকৃষ্ট ও গর্হিত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে।’
সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, ‘সাইবার ক্রাইমের অন্যতম উপাদান বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক তৈরি করা এ ধরনের ডিপফেইক টেকনোলজির অপপ্রয়োগের মাধ্যমে যে কারো চরিত্র হনন করা সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী নেতাকর্মীদের দুর্নীতির মহোৎসবের ডামাডোলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতি, দেশের অর্থনীতি তলানী অবস্থাসহ সার্বিকভাবে দেশ ও দেশের জনগণকে চরম অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে যখন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শ্রাবণ-জুয়েলের নেতৃত্বে দেশের ছাত্রসমাজকে সোচ্চার করার আন্দোলন বেগবান করে চলেছেন, ঠিক সেই সময়ে এই ছাত্রজনতার গণআন্দোলনকে ব্যাহত করার লক্ষ্যে এই সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে চরিত্র হননের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।’