নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোনো দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধ্য করতে পারে না এবং সে ধরনের কোনো প্রয়াস কমিশন গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন।
ইসির সঙ্গে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ থেকে পাওয়া মতামত ও পরামর্শের জবাবে ইসির পর্যালোচনা ও মতামত হিসেবে এসব কথা বলা হয়েছে।
সোমবার ইসি এ সংক্রান্ত একটি সার সংক্ষেপ নিবন্ধিত ২৮টি রাজনৈতিক দল, আইন, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ শীর্ষ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন, ইসির জনসংযোগ পরিচালক যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান।
এছাড়া সংলাপে সবগুলো রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ, নির্বাচনকালীন সরকার, ইভিএম, সেনা মোতায়েনসহ যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও পরামর্শ পেয়েছিল তা পর্যালোচনা করে ১০টি বিষয়ে মাতমত তুলে ধরেছে নির্বাচন কমিশন।
সংলাপের সারসংক্ষেপের মতামত ও পরামর্শগুলোকে ১০টি ভাগে ভাগ করে ইসির মতামতও তুলে ধরা হয়েছে।
প্রথমভাগে রাজনৈতিক দলগুলো থেকে পাওয়া পরামর্শ ও মতামত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, অধিকাংশ দলের পরামর্শ ছিল নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে অর্থাৎ নির্বাচনে সবগুলো, বিশেষত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কয়েকটি দলের পক্ষে পরামর্শ ছিল নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়া বাঞ্ছনীয়। তবে, কোনো দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করা বা জবরদস্তি করা যাবে না। সবগুলো দলের পক্ষে পরামর্শ ছিল নির্বাচন অবাধ হতে হবে। ভোটারদের স্বাধীন ভোটাধিকার প্রয়োগে সম্ভাব্য সব প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রতিষ্ঠা করে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুকুল পরিবেশ ও সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
এ বিষয়ে ইসির মতামত হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন সবগুলো দলের বিশেষ করে, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ আন্তরিকভাবে প্রত্যাশা করে। নির্বাচন কমিশন কোনো দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধ্য করতে পারে না এবং সে ধরনের কোনো প্রয়াস নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করবে না। তবে, সবগুলো দলকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার আহ্বান শেষ পর্যন্ত আন্তরিকভাবেই বহাল থাকবে।