চা শ্রমিকদের দৈনিক ১২০ টাকা মজুরির পরিবর্তে ৩০০ টাকা মজুরির দাবি মেনে না নেয়া অমানবিক বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, এই খাতে যদি কোনো মানবিক কর্তৃপক্ষ থাকতো তাহলে শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ে রাজপথে নামার আগেই কর্তৃপক্ষ তা মেনে নিয়ে জাতিকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচাতে পারতো।
বুধবার (১৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, যুগ যুগ ধরে চা শ্রমিকরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। বিবেকহীন শোষণে ধ্বংস হচ্ছে চা শ্রমিকদের স্বপ্ন। বর্তমান বাস্তবতায় শ্রমিকের দিনে মাত্র ১২০ টাকা মজুরি শুধু অমানবিক নয়, এটি শোষণের নিকৃষ্ট উদাহরণ। এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, দেশের অন্য যে কোনো খাতের তুলনায় চা শ্রমিকদের মজুরি সর্বনিম্ন ও বৈষম্যমূলক।
তারা বলেন, চা শ্রমিকদের দেশের নাগরিক হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে তাদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে চলমান আইনসম্মত আন্দোলনের যৌক্তিকতা অনুধাবনের পাশাপাশি সমতাভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে চা শ্রমিকদের নিকট গ্রহণযোগ্য যৌক্তিক মজুরি নির্ধারণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, প্রকৃতপক্ষে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এমন বাস্তবতায় দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরিও যথেষ্ট নয়। শোষণের শিকার চা শ্রমিকরা স্বপ্ন দেখার সাহসও হারিয়ে ফেলেছেন।
অবিলম্বে চা শ্রমিকদের সকল অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান ও মহাসচিব বলেন, চা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবী মেনে না নিয়ে শ্রমিকের দিকে বন্দুক তাক করার মতো সিদ্ধান্ত নেওনেওয়ালাদের ধিক্কার জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। কেবল তাদের কাছ থেকে জানতে ইচ্ছে করছে, এই রাষ্ট্র তবে কি কৃষক-শ্রমিকের জন্য নয়?