খুলনার রূপসা উপজেলার ডোবা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাবসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক দীপ্তিশ্বর বিশ্বাস বিদ্যালয়ের নবম-দশম শ্রেণীর ছাত্রীদের সাথে বিভিন্ন সময় অসৌজন্য মূলক আচরণ করেন। সর্বশেষ তিনি দু ছাত্রীকে কু প্রস্তাব দেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে বুধবার সকাল ৮টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত উক্ত প্রধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। বেলা ১২টার দিকে থানা পুলিশের একটি দল শিক্ষককে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসে।
নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নন্দিনী শীল, সুজয় বৈরাগী, রুপম মহন্ত অভিযোগ করে বলে, প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ছাত্রীদের সাথে প্রাইভেট পড়ানোর সময়ে অসৌজন্য আচরণ করতেন। সর্বশেষ তিনি এক ছাত্রীকে শারীরিক সম্পর্কের কুপ্রস্তাব দেন।
ঘটনার বিচারের দাবিতে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা একত্রিত হয়ে মানববন্ধন এবং সমাবেশ করে। পরবর্তীতে ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ঢুকে চেয়ার, টেবিল, ব্যবহারিক জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এ সময় প্রধান শিক্ষককে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মারধরের চেষ্টা করে।
সকাল থেকে স্কুলের সামনে শত শত অভিভাবকরা এসে ভিড় করে এবং প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ তুলে ধরে। বিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকরা ওই প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি করে।
অবশেষে প্রধান শিক্ষক কে থানা পুলিশ আটক করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ।
এ ঘটনার বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপ্তিস্বর বিশ্বাস বলেন, ‘ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে একটি মহল মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে নাজেহাল করছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া তাছনিম বলেন, প্রধান শিক্ষককে আমরা আইনের আওতায় এনে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।