চলমান অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের ধারা ধরে রেখে আরো একটি দারুণ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয় পেয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশের যুবারা। যেখানে হ্যাটট্রিক করেছেন মিরাজুল ইসলাম। অন্য গোলটি রফিকুল ইসলামের।
এ দিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক বাংলাদেশ দল। মালদ্বীপকে কোনো সুযোগ দেয়নি পল থমাস স্মলির দল। মিরাজ-পিয়াসদের আক্রমণ সামলাতেই হিমশিম খায় প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ। প্রথম ম্যাচে সুযোগ পেয়ে গোল করা মিরাজকে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামাননি স্মলি। তবে তৃতীয় ম্যাচে শুরুর একাদশে ঢুকেই মালদ্বীপের উপর ঝড় তুলেন তরুণ এই ফরোয়ার্ড।
১২ মিনিটে বাংলাদেশের আক্রমণ রুখে দেন মালদ্বীপের গোলকিপার। রফিকুলের সঙ্গে বল দেওয়া-নেয়া করে বক্সের সামনে থেকে মঈনের উঁচু করে নেয়া শট খানিকটা ঝাঁপিয়ে হাতের স্পর্শে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন শাইহান আলী। আক্রমণের ধারা বজায় রেখে ১৯ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বক্সের ডান দিক থেকে পিয়াস আহমেদ নোভার ক্রস গোলকিপার ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দিলে খুলে যায় গোলের মুখ। ফিরতি বলে দেখে শুনে বল জালে পাঠান মিরাজুল ইসলাম।
তিন মিনিট বাদেই ব্যবধান বাড়ায় বাংলাদেশ। এবারও গোল করেন মিরাজুল ইসলাম। ডান দিক থেকে রফিকুলের ক্রস বক্সের বাম প্রান্ত থেকে মুরশেদ আলী হেডে বাড়িয়ে দেন গোলমুখে। মালদ্বীপের গোলকিপার ও দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান থেকে সুযোগ সন্ধানী মিরাজের প্রথম শট ক্রসবারে লেগে ফিরে এলেও ফিরতি শট জালে জরাতে ভুল করেননি তিনি। আসরে এটি তার তৃতীয় গোল।
৩২ মিনিটেই ব্যবধান ৩-০ করে ফেলে বাংলাদেশ। এবার গোল করেন মিডফিল্ডার রফিকুল ইসলাম। বাম প্রান্ত থেকে মিরাজুলের নিচু করে নেয়া ক্রস ফাঁকায় থাকা রফিকুল গতির শটে জাল খুঁজে নেন। বিরতিতে যাওয়ার আগেই মালদ্বীপের জালে চতুর্থবার বল পাঠায় বাংলাদেশ। হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মিরাজুল ইসলাম। পিয়াস আহমেদ নোভার বাড়ানো পাস বক্সের ভেতর থেকে মিরাজের শট ফিরিয়ে দেন গোলকিপার শাইহান কিন্তু ফিরতি বলে গতির শটে বল জালে পাঠান এই ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালায় মালদ্বীপ। সেই চেষ্টায় এক গোল শোধ করে তারা। ৫৩ মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো পাস ধরে বক্সের ভেতর থেকে জাইন জাফরের শট আগুয়ান গোলকিপার আসিফের গায়ে লেগে আটকে গেলেও মুহূর্তেই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান জাফর।
বাংলাদেশও পেয়েছিল ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ কিন্তু তা কাজে লাফাতে পারেননি মিরাজ-পিরাসরা। ৮৪ মিনিটে মিরাজের শট এবং যোগ করা সময়ে পিয়াসের শট পোস্টে লেগে ফিরলে আর ব্যবধান বাড়ানো হয়নি।
আগামী ২ আগস্ট গ্রুপের শেষ ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।