এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মোটরসাইকেল চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবি করেছে সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়ন সংক্রান্ত কমিটির গঠিত টাস্কফোর্স।
বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সভা শেষে টাস্কফোর্সের সদস্য শাজাহান খান সাংবাদিকদের এ বিষয়টি জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, দূরপাল্লায়, আন্তঃজেলায় রাইডশেয়ারিং হবে না। আজও এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন ৪০ শতাংশ দুর্ঘটনা মোটরসাইকেলে হয়। সুতরাং আমরা সেটাকে নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে শাজাহান খান বলেন, চালকদের ডোপ টেস্ট করে লাইসেন্স নবায়ন করা বা নতুন লাইসেন্স দেওয়ার একটি সিদ্ধান্ত আছে। এ ডোপ টেস্টের বিষয়ে কয়েকটি সেন্টার আছে। আমরা এর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে বলেছি। এ টেস্ট করতে ৯০০ টাকা প্রয়োজন হয়, সেটাকে কমানোর জন্য অনুরোধ করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা আরেকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হাইওয়ে পুলিশের সংখ্যা প্রয়োজন আট হাজারের উপরে। সেখানে দুই হাজার প্লাস রয়েছে। এটাও যাতে বাড়ানো যায় আমরা সেই অনুরোধ করেছি। ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা এখন ঢাকা শহরে যা আছে তা খুবই সামান্য বলে মনে করি। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে বলেছি।
শাজাহান বলেন, মানসম্মত ড্রাইভিং স্কুল আমাদের দেশে অনেক কম। উত্তরায় বা অন্য জায়গায় প্রচুর অবৈধ স্কুল আছে। এসব স্কুল বন্ধ করে উপযুক্ত স্কুলকে অনুমোদন দিতে আমরা বিআরটিএকে নির্দেশনা দিয়েছি।
টাস্কফোর্সের এ সদস্য বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি নিয়োগপত্র নিয়ে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে একটা বিরোধ আছে। আমরা এটা আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্তও নিয়েছি। মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বসে এ সমস্যার দ্রুত সমাধান করবেন এবং কমিটিতে অবহিত করবেন।
১১১ সুপারিশের মধ্যে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের হেলমেট পরা, ট্রাকের বাস্পার-অ্যাঙ্গেল অপসারণসহ কয়েকটি বিষয় সরকার বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস প্রায় ৮০ ভাগ চাঁদাবাজি বন্ধ করে দিয়েছি। বাকিটা বন্ধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আরো কয়েকটি বাস টার্মিনাল করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, সেগুলো হলে আর সড়কে পার্কিং করা যাবে না। আর পুরনো ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি শুধু পুলিশ জব্দ করবে না, সেগুলো স্ক্র্যাপ করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।