কথা রাখলেন রাফিনিয়া। আগের ম্যাচ শেষ করে জানিয়েছিলেন, রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে গোল করতে চান তিনি। আজ যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে তিনি সে চাওয়া পূরণ করলেন অবিশ্বাস্য এক গোল করে। এর আগে-পরে বার্সেলোনা দাপট দেখিয়েছে প্রায় পুরো ম্যাচেই। তবে দুই দলের ব্যবধানটা শেষমেশ গড়ে দিলো ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়ার সেই এক গোলই। তাতে ভর করেই রিয়াল মাদ্রিদকে হারাল কোচ জাভি হার্নান্দেজের বার্সেলোনা।
বার্সেলোনা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা ম্যাচের আগেই জানিয়েছিলেন, এল ক্ল্যাসিকো কখনো প্রীতি ম্যাচ হয় না। ম্যাচের শুরু থেকেই যেন সেটা প্রমাণের চেষ্টায় ছিলেন লাস ভেগাসের এলিজ্যান্ট স্টেডিয়ামের দর্শকরা। বিপুল হর্ষধ্বনি আর দুয়োতে মনে হচ্ছিল প্রীতি ম্যাচ নয়, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কিংবা লা লিগার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচই বুঝি খেলতে নামছে দুই দল!
ম্যাচেও ছিল তার ছাপ। রেফারির সিদ্ধান্তে অসন্তোষ তো আছেই, দুই দলের খেলোয়াড়রা একে অন্যের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা, হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েছেন বেশ। তাতে এল ক্ল্যাসিকোর পুরোনো দিনের স্বাদই যেন ফিরে এসেছিল লাস ভেগাসের ‘প্রীতি’ ম্যাচে।
এই ম্যাচ দিয়ে বার্সার জার্সিতে অভিষেক হয়েছে রবার্ট লেভান্ডভস্কির। তবে তার জার্সি নম্বরে ছিল একটা চমক। ৯ নম্বর জার্সি নয়, তিনি নেমেছিলেন ১২ নম্বর জার্সি পরে। বার্সার ৯ নম্বর জার্সি যে মেম্ফিস ডিপাইয়ের দখলে!
অভিষেক ম্যাচে অবশ্য লেভা আলো ছড়াতে পারেননি তেমন। আলো ছড়িয়েছেন বার্সেলোনার আরেক নতুন খেলোয়াড় রাফিনিয়া। ২৭ মিনিটে তিনিই করেন দলের একমাত্র গোলটি।
বার্সেলোনার দারুণ প্রেসের সামনে নিজেদের বক্সের সামনে বল হারিয়ে বসেন রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার এডার মিলিতাও। তার বল গিয়ে পড়ে রাফিনিয়ার পায়ে। বক্সের বাইরে থেকে শট করার সুযোগ পেয়েই আর অপেক্ষা করেননি তিনি। তার দূরপাল্লার শট রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকে ফাঁকি দিয়ে গিয়ে আছড়ে পড়ে জালে।
সেই গোলের আগে পরে বার্সেলোনা ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়েছে বেশ। রিয়াল মাদ্রিদ তার প্রতিবারই বেঁচেবর্তে ফিরেছে থিবো কোর্তোয়ার কল্যাণে। প্রতি আক্রমণে কয়েকবার অবশ্য তারাও বার্সার রক্ষণভাগে উঠে এসেছে। তবে শেষমেশ বার্সার জালে আর বল জড়ানো হয়নি কার্লো অ্যানচেলত্তির শিষ্যদের। ফলে ১-০ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে দলটি। আর এল ক্ল্যাসিকো জেতার দম্ভটা সঙ্গী হয় বার্সেলোনার।