আগামী ২৬ জুলাই রাতে জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। তার মাত্র ৩ দিন বাকি থাকলেও এখনো জানা যায়নি সে সফরের অংশ কারা হচ্ছেন! এই প্রক্রিয়া আটকে আছে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ভাগ্যের ওপর। সেই ভাগ্য জানা যেতে পারে আজ শুক্রবার। অধিনায়কত্ব ইস্যুতে আজ বোর্ডের কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বর্তমান অধিনায়ক।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর মাঠে গড়াতে আর মাত্র তিন মাসের অপেক্ষা। অথচ এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের অবস্থা একেবারেই নাজুক। কিছুতেই সাফল্য দেখা দিচ্ছে না। এজন্য আলোচনায় ঘুরেফিরে আসছে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নাম। অনেকেই মনে করছেন যুতসই নেতৃত্বের অভাবে ভুগছে দল। এখনই মাহমুদউল্লাহকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর সময় এসেছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও এনিয়ে চলছে চাপা ক্ষোভ। অনেকেই মাহমুদউল্লাহকে সরিয়ে নতুন নেতৃত্ব আনার পক্ষে। তবে বোর্ড নিজে থেকে সরাতে চায় না, আলোচনার মাধ্যমে মাহমুদউল্লাহর মুখ থেকেই বের করতে চায় বিদায়ের ঘোষণাটি, যেমনটি কিছুদিন আগে হয়েছিল ঠিক মুমিনুল হকের সঙ্গে!
জানা গেছে, আজ জুমার নামাজের পর রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব ইস্যুতে বৈঠকে বসবেন বোর্ডের ৩-৪ জন পরিচালক, যেখানে মাহমুদউল্লাহ উপস্থিত থাকবেন।
মূলত বিপত্তি বেধেছে মাহমুদউল্লাহকে জিম্বাবুয়ে সিরিজে নেতৃত্বে রাখা নিয়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় উইন্ডিজ থেকে দেশে ফিরেছেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের দলপতি। সম্প্রতি এই সংস্করণে একেবারেই সুবিধা করতে পারছে না টাইগাররা। সঙ্গে আলোচনায় রিয়াদের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স। দুটোর কোনোটিতেই সফলতা নেই অনেকদিন ধরে।
এজন্য বোর্ড চাইছে রিয়াদকে সরিয়ে সাকিব আল হাসানকে দায়িত্ব দিতে। তবে সাকিব ব্যক্তিগত কারণে ছুটি নেওয়ায় জিম্বাবুয়ে সফরে যাবেন না। এজন্য বিসিবি চাইছে মাহমুদউল্লাহকে দিয়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজটা শেষ করতে। তবে যে গুঞ্জন আছে, অধিনায়ক ছাড়তে হলে জিম্বাবুয়েতেও দায়িত্ব নেবেন না বর্তমান অধিনায়ক। এজন্য ভেতরে ভেতরে সাকিবকে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।
তবে এসব অঙ্ক মেলানোর আগে দায়িত্ব ছাড়তে হবে মাহমুদউল্লাহকে। সেই ঘোষণা আসতে পারে আজকের এই বৈঠকে।
মাহমুদউল্লাহর অধীনে সর্বশেষ ১৩ ম্যাচে বাংলাদেশ দলের জয় মাত্র একটিতে। সবমিলিয়ে ৪৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জেতাতে পারেননি ১৬ ম্যাচের বেশি। অধিনায়ত্ব পাওয়ার পর ব্যাট হাতেও পারফরম্যান্সে অনুজ্জ্বল মাহমুদউল্লাহর। সঙ্গে ব্যাট হাতে তার ক্যারিয়ার গড় যেখানে ২৩.৪৮, সেখানে অধিনায়কত্ব করেছেন এমন সময়ে গড় নেমে এসেছে ২৩ এ ঠেকেছে।
সর্বশেষ ১৩ ম্যাচে তার ৩০ পেরোনো ইনিংস কেবল একটি, ২০ পেরোনো ইনিংসও সাকূল্যে ২টি। উইন্ডিজ সফরে ৩ ম্যাচে করতে পেরেছেন ৪১ রানের বেশি।