সুনামগঞ্জের আদালত এলাকায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খোকন মিয়া নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা আইনজীবী সমিতির সম্মুখে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। নিহত খোকন মিয়া জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের গলাখাই গ্রামের ফটিক মিয়ার ছেলে।
এই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে তাৎক্ষণিক আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারীরা।
তারা হলেন- গলাখাই গ্রামের মুহিবুর রহমানের ছেলে ফয়েজ আহমদ, আফরোজ মিয়ার ছেলে সাজিদ মিয়া ও আফরোজ মিয়ার সেবুল মিয়া। ঘটনায় জড়িত জাহান নামের অপর এক যুবক পুলিশের জিম্মা থেকে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত খোকন মিয়ার সাথে তাকে খুনের ঘটনায় জড়িত চার যুবকের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আদালতে মামলা চলছিল। বৃহস্পতিবার নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজিরা দিতে আসলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আইনজীবী সমিতির সামনে খোকনকে একা পেয়ে ফয়েজ, সাজিদ, জাহান ও সেবুল উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। বিষয়টি দেখে উপস্থিত জনতা, আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা এগিয়ে গিয়ে ফয়েজ, সাজিদ ও সেবুলকে ধরে সমিতিতে আটকে রাখেন। জাহান নামের অপর একজন পালানোর সময় জনতার হাতে আটক হয়। তাকে আদালত এলাকায় দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্যদের জিম্মায় দিলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সে। আটক তিনজনকে অস্ত্রসহ পুলিশে সোপর্দ করেন আইনজীবীরা।
এদিকে, ছুরিকাঘাতে আহত খোকন মিয়াকে আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা হাসপাতালে পাঠালে বেলা ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. রফিকুল ইসলাম ছুরিকাঘাতে আহত খোকন মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে, বেলা দেড়টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু সাঈদ। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আইনজীবীদের সহযোগিতায় যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার কারণ জানা হবে। এই ঘটনায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্তৃক দায়িত্ব পালনে অবহেলার কোন প্রামাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।