গতকাল (১৬ জুলাই) শনিবার বিকেলে মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার ওয়াপদা বাসস্ট্যান্ডের আব্দুস সালাম (৫২) নামে এক শ্রমিককে নাকোল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জামাল উদ্দিন যাত্রী হয়রানির অভিযোগে মারপিট করে। পরে আহত অবস্থায় তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়। সে স্থানীয় রায় নগর গ্রামের আছির উদ্দিন এর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার (১৬ জুলাই) বিকালে আনুমানিক চার ঘটিকার সময় ওয়াপদা বাজার বাসস্ট্যান্ডে পরিবহনে যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে এক যাএীর সাথে কথা কাটাকাটির ঘটনা হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় জনগণ উভয়ের মধ্যে আপস মিমাংসা করে দেন। এর এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী ঐ যাত্রী স্থানীয় নাকোল পুলিশ ফাঁড়িতে ফোনে অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে নাকোল পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য এস আই জামাল ওয়াপদা মহা সড়ক জনপদ থেকে ছালাম কে মারপিট করতে করতে নাকোল পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর আহত ছালাম অসুস্থ হয়ে পড়লে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্মরত ডাক্তার ছালাম কে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার জেরে নাকোল ও ওয়াপদা সহ আশপাশের স্থানীয় জনতা এ সময় মহা সড়কের উপর গাছ এবং চেয়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এতে করে মহা সড়কে সৃষ্টি হয়েছে প্রচন্ড যানযট। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে বিক্ষুব্ধ শ্রমিক সহ স্থানীয় জনগণ এস আই জামালের বিচার দাবি করে স্লোগান দিতে থাকে। খোজ নিয়ে জানা জায় এস আই জামাল এর আগে ও এমন করমকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন,২০১৫ সালে যশোরের হুদোর মোড়ে গণপিটুনি নাটক সাজিয়ে যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র ইসমাইল শেখ ও তাঁর বন্ধু আল-আমিন কে হত্যা করে জোড়া খুনের মামলার প্রধান আসামি হন এসআই জামাল সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় মাগুরা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম দুঃখ প্রকাশ করে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে ইতিমধ্যে ক্লোজড করা হয়েছে বলে জানিয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত এজাহার পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।