সিলেটে এখনও বাড়ি ফিরতে পারেননি ১০ হাজার ৮১০ বানভাসি। ২১৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করছেন তারা। অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে তাদের।
জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৯০ ভাগ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিলেটের ১৩ উপজেলার সবকটা ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। ১৪ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিলো। এরপর বেশিরভাগ এলাকায় পানি কমলেও এখনও দক্ষিণ সুরমা ও বালাগঞ্জে বন্যার পানি রয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) তথ্য অনুযায়ী, সিলেটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৩টি পরিবারের ২৯ লাখ ৯৯ হাজার ৪৩৩ জন মানুষ। এর মধ্যে ৪০ হাজার ৪১টি বাড়ি বন্যায় বিধ্বস্ত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ১০ হাজার করে ৫ হাজার পরিবারকে ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে মহানগরের কোথাও ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর তহবিল অথবা সিসিক থেকে কোনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
সিলেট জেলার ১৩ উপজেলায় ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে ২ হাজার ১১২ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২ কোটি ৯২ লাখ টাকা, ১০ লাখ টাকার শিশু খাদ্য, ১০ লাখ টাকার গো—খাদ্য, ২ হাজার বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহ মেরামত বাবদ ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৯২৮ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২ কোটি ৭২ লাখ টাকা, বরাদ্দকৃত শিশু খাদ্য ও গো—খাদ্য, ২০ হাজার ২১৮ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, বানভাসিদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত ১৪০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, জেলার সব কয়টি উপজেলায় বন্যা দুর্গতদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ঘর মেরামতের জন্য টাকা প্রদান করা হলেও মহানগরীতে এখনও এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। নির্দেশনা পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।