বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্নাতক ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা আজ শনিবার (৪ জুন) অনুষ্ঠিত হবে।
এদিন দুই শিফটে পরীক্ষা চলবে। সকাল ১০টা থেকে প্রথম শিফটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে বেলা ১১টা পর্যন্ত। এরপর দ্বিতীয় শিফট বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে চলবে ৪টা পর্যন্ত।
এবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রাথমিক আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে মোট ১৭ হাজার ৩৩ জনকে প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
বুয়েটের ভর্তি বিষয়ক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, এবারো দুই ধাপে ভর্তি পরীক্ষা হবে। প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা হবে আজ ৪ জুন। চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে ১৮ জুন। বুয়েট ক্যাম্পাসে দুই শিফটে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এমসিকিউ প্রশ্নে দুটি গ্রুপে ১০০ নম্বরে হবে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা। ‘ক’ গ্রুপে থাকছে প্রকৌশল ও বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ। ‘খ’ গ্রুপে থাকছে প্রকৌশল ও বিভাগগুলো, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ ও স্থাপত্য বিভাগ।
পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং থাকছে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত নম্বর থেকে প্রশ্নের মানের ২৫ শতাংশ মার্ক কেটে নেয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১১ জুন চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদনকারীদের নাম প্রকাশ করা হবে।
চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষা হবে আগামী ১৮ জুন। এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মডিউল-এ ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপের জন্য গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন। বেলা ২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত মডিউল-বি ‘খ’ গ্রুপের মুক্তহস্ত অঙ্কন এবং দৃষ্টিগত ও স্থানিক ধীশক্তি।
এরপর আগামী ৬ জুলাই নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
গত ২৯ মে থেকে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে (http://ugadmission.buet.ac.bd/) গিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারছেন।
এর আগে গত ১৩ মে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রাথমিক আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে মোট ১৭ হাজার ৩৩ জনকে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এই প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাওয়াদের মধ্যে প্রথম শিফটে রয়েছেন ৮ হাজার ৫১৭ জন এবং দ্বিতীয় শিফটে ৮ হাজার ৫১৬ জন শিক্ষার্থী।
বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রথম ৬ হাজার শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে।
আসনসংখ্যা: পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য এলাকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের প্রকৌশল বিভাগ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট ৩টি এবং স্থাপত্য বিভাগে ১টি সংরক্ষিত আসনসহ মোট আসনসংখ্যা ১ হাজার ২৭৯টি।
এরআগে বুয়েটে ভর্তির আবেদন শুরু হয় ১৬ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে। আবেদন চলে ২৫ এপ্রিল বিকেল ৩টা পর্যন্ত।