সিলেটে বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ মামলায় একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোমিনুর রহমান।
আদালতের বিশেষ পিপি মুমিনুর রহমান টিটু জানান, চার কার্যদিবসে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। পলাতক ফয়সল আহমদ, হারুন অর রশিদ ও আবুল হোসেনের পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করে আদালত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারে নুরানি আবাসিক এলাকার নিজ বাসার সামনে খুন হন অনন্ত। পেশায় ব্যাংকার অনন্ত বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি যুক্তি নামে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। এছাড়া বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। হত্যাকাণ্ডের পর সিলেট বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাত চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন অনন্তের বড় ভাই রতেশ্বর দাশ। এতে বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে ‘উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
মামলাটি পুলিশ থেকে অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়। এরপর ২০১৭ সালের ৯ মে আদালতে দাখিল করেন অভিযোগপত্র সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী। এতে সন্দেহভাজন আটক ১০ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযোগপত্রে শফিউর রহমান ফারাবী, মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহী, আবুল খায়ের রশীদ আহমেদ, আবুল হোসেন ওরফে আবুল হুসাইন, হারুনুর রশীদ ও ফয়সল আহমেদকে অভিযুক্ত করা হয়।
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন মান্নান। ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার মৃত্যু হয়। বাকি তিন আসামি এখনো পলাতক। তবে এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শফিউর রহমান ফারাবী ও আবুল খায়ের রশীদ আহমেদকে আদালতে হাজির করা হয়।