সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে কম বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, এবার কম বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল করেছে। সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের কারণে ভালো ফলাফল হয়েছে। আর পাসের হার বেশি হলে খারাপ কি? এমন একদিন আসবে, যেদিন শতভাগ উত্তীর্ণ হবে।
রোববার প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানিয়েছেন।
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির কারণে এ বছর নৈর্বাচনিক বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হয়। তবে গত বছর জেএসসি ও এসএসসির নম্বর গড় করে ফল দেওয়া হয়েছিল।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে আজ। সারাদেশে পাসের হার ৯৩.৫৮ শতাংশ। এর আগে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন সব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা।
সাধারণত প্রতি বছর এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হলেও এবার করোনা মহামারির কারণে এইচএসসির ফল ২০২১ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নেয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর শুরু হয়ে শেষ হয় ৩০ ডিসেম্বর।
এর মধ্যে রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৯৭.২৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী; বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৯৫.৭৬ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৯৭১ শিক্ষার্থী; কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৯৭.৪৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ১৫৩ শিক্ষার্থী; দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৯২.৪৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৯ শিক্ষার্থী।
এছাড়া চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৮৯.৩৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭২০ শিক্ষার্থী; সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৯৪.৮০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৩১ শিক্ষার্থী; যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯৮.১১ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ হাজার ৮৭৮ শিক্ষার্থী।
এর মধ্যে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন। এদের মধ্যে দুই লাখ ৫৪ হাজার ৮৩০ জন বিজ্ঞান, ছয় লাখ ৫৬ হাজার ১৩২ জন মানবিক এবং দুই লাখ ২৭ হাজার ৫৫ জন বাণিজ্য বিভাগের। এ ছাড়া এক লাখ ১৩ হাজার ১৪৪ জন মাদ্রাসা ও এক লাখ ৪৮ হাজার ৫০৩ জন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের।