এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ শিক্ষার্থী।
এদিকে সারাদেশে এইচএসসিতে পাসের ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের সার্বিক পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
এর মধ্যে রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৯৭.২৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী; বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৯৫.৭৬ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৯৭১ শিক্ষার্থী; কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৯৭.৪৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ১৫৩ শিক্ষার্থী; দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৯২.৪৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৯ শিক্ষার্থী।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৮৯.৩৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭২০ শিক্ষার্থী; সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৯৪.৮০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৩১ শিক্ষার্থী; যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯৮.১১ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ হাজার ৮৭৮ শিক্ষার্থী।
সাধারণত প্রতি বছরের এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হলেও এবার করোনার কারণে এই পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর শুরু হয়ে শেষ হয় ৩০ ডিসেম্বর।
এর মধ্যে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন। এদের মধ্যে দুই লাখ ৫৪ হাজার ৮৩০ জন বিজ্ঞান, ছয় লাখ ৫৬ হাজার ১৩২ জন মানবিক এবং দুই লাখ ২৭ হাজার ৫৫ জন বাণিজ্য বিভাগের। এ ছাড়া এক লাখ ১৩ হাজার ১৪৪ জন মাদরাসা ও এক লাখ ৪৮ হাজার ৫০৩ জন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ফলাফলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যেভাবে জানা যাবে এইচএসসির ফল:
শিক্ষার্থীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (http://www.educationboardresults.gov.bd) ভিজিট করে ফলাফল জানতে পারবে। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করে ফলাফল জানতে পারবে।
আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা মোবাইলের মাধ্যমে ফল পেতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখবে। এরপর তা ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস আকারে পাঠাবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানানো হবে।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর প্রত্যাশিত না হলে প্রতিবারের মতো এবারও পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করার সুযোগ পাবে। এ আবেদন শুরু হবে আগামী সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি)। আর ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসএমএসের মাধ্যমে পুনর্নিরীক্ষার জন্য আবেদন করা যাবে।