শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় যে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে গুজব ছড়ালে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর লক্ষ্মীবাজারে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে কেউ গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা করলে কিংবা প্রশ্নপত্র সংক্রান্ত কোনো অনৈতিক কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেই হোক, চিহ্নিত হলেই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বে ওমিক্রনের যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তার থেকে শুধুমাত্র পরীক্ষাকে নয়, আমাদের দেশকেও মুক্ত করতে হবে। তাই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করেছে। আমাদের দেশে অভিভাবকদের এসএসসি বা এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে শিক্ষার্থীদের হলে ঢুকিয়ে দেওয়ার মানসিকতা থাকে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। সন্তানের সুরক্ষার প্রয়োজনে অপেক্ষমান বাবা-মা যেন ভিড় না করেন, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্যও তাদের পরামর্শ দেন।
আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের উপর ওমিক্রনের প্রভাব পড়বে কিনা এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমাদের যে পরামর্শক কমিটি আছেন তাদের পরামর্শ অনুসারেই শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে গত দেড় বছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছি। পরামর্শ নিয়েছি, আগামীতেও এ পরামর্শ গ্রহণ করা হবে।
ডা. দীপু মনি বলেন, নতুন বছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ে তা বিবেচনা করা যেতে পারে। এছাড়া সবকিছু ঠিক থাকলে উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ত্রিশ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।
এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ টিকা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসব পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যারা প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছে, দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়ার সময় হয়েছে সেসব শিক্ষার্থী এবং যাদের টিকা নেয়া হয়নি তাদের পরীক্ষার পরপরই দ্রুততম সময়ে টিকা দেওয়া হবে।