বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিভিন্ন বিভাগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। ফল পর্যবেক্ষণ করে এবার পাসের হার ৩৩ দশমিক শূন্য ৩।
ফলাফল অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৫ হাজার ৯৪৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৯৮০ জন ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। সেই হিসাবে পাসের হার ৩৩ দশমিক শূন্য ৩। যাচাই-বাছাইয়ের পর এই শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ১ হাজার ২১৫ জন এবার বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বুয়েটের ওয়েবসাইট ও নোটিশ বোর্ডে ভর্তি পরীক্ষার এ ফল প্রকাশ করা হয়।
গত ২০ ও ২১ অক্টোবর বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার প্রাক-নির্বাচনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সেই পরীক্ষার ফলাফলে প্রথম ছয় হাজার জনকে লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা হয়। ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় ছয়জন প্রার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। শুধু লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তিযোগ্য প্রার্থীদের মেধাতালিকা তৈরি করেছে বুয়েট।
বুয়েটে এবার মোট আসন ১ হাজার ২১৫টি। প্রকৌশল বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট আসন ১ হাজার ১৫৫টি (৩টি সংরক্ষিত আসনসহ) আর স্থাপত্য বিভাগের জন্য আসন ৬০টি (১টি সংরক্ষিত আসনসহ)।
বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার লিখিত পর্ব হয় দুটি গ্রুপে। ক গ্রুপে ছিল প্রকৌশল বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ। খ গ্রুপে প্রকৌশল বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের পাশাপাশি স্থাপত্য বিভাগ। প্রাক-নির্বাচনী পর্বে ক ও খ দুই গ্রুপের জন্যই গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ের ওপর ১০০ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষা হয়। লিখিত পর্বে ক গ্রুপের জন্য ৪০০ ও খ গ্রুপের জন্য ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। এ ক্ষেত্রে ক গ্রুপের পরীক্ষা হয় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ের ওপর আর খ গ্রুপে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের পাশাপাশি মুক্তহস্ত অঙ্কন এবং দৃষ্টিগত ও স্থানিক ধীশক্তি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৫ হাজার ৯৪৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৯৮০ জন ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
বুয়েটে এবার মোট আসন ১ হাজার ২১৫ টি। প্রকৌশল বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট আসন ১ হাজার ১৫৫টি (৩টি সংরক্ষিত আসনসহ) আর স্থাপত্য বিভাগের জন্য আসন ৬০টি (১টি সংরক্ষিত আসনসহ)।
প্রকাশিত ফলাফলে স্থাপত্য বিভাগে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ৬০ জন আর অপেক্ষমাণ তালিকায় আছেন ১২০ জন। প্রকৌশল বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে ভর্তির জন্য ১ হাজার ১৫৫ জন শিক্ষার্থী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, অপেক্ষমাণ তালিকায় আছেন ৬৪৫ জন।