বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চলতি আমন মৌসুমে আমন ধানে কারেন্ট পোকার প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। ফসলহানির সম্ভাবনার আংকায় রয়েছে সাধারণ কৃষক। সচেতনাতায় কৃষি দপ্তরের মাইকিং লিপলেট বিতরণ।সরেজমিনে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন নিশানবাড়িয়া, জিউধরা, বারইখালী ও বহরবুনিয়া ইউনিয়নের চলতি আমন মৌসুমে এবারে ৭ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে কৃষক আমন ধানে চাষাবাদ করেছেন। সমস্ত মাঠ জুড়ে মাঠের পর মাঠ সোনালী ফসলের সমারহ। কৃষকের মুখে হাসি দেখা দিলেও আজ তাদের সেই কাঙ্খিত ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কিনা আশংকায় রয়েছেন তারা। আর মাত্র ২/৩ সপ্তাহের পরে এ এলাকার প্রতিটি কৃষক তাদের কাঙ্খিত আমন ধান কেটে ঘরে তোলার কথা। হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে এ ইউনিয়নগুলোর অধিকাংশ ফসলি জমিতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ।
কথা হয় কৃষক অরুন হালদার, বিপ্লব মাঝি, মোজাম্মেল শেখ, আবুল কালাম, এনায়েত করিম ফকিরসহ একাধিক কৃষকের সাথে তারা বলেন, একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্যদিকে অতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে অন্য কোন ফসল উৎপাদন করতে পারেনা তারা।বছরের এ আমন মৌসুমের ওপর নির্ভরশীল পরিবার পরিজনের খাবার মিটিয়ে বাকি ধান বিক্রি করে চলতে হয় কৃষকদের। গত বছরের এ কারেন্ট পোকার ফসলহানি ক্ষতি পুশিয়ে উঠত না উঠতেই এ বছরেও দেখা দিয়েছে এ পোকা। এ যেন মরার ওপর খরার ঘা।সংশ্লিষ্ট ইউনিয়গুলোর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু, শফিকুর রহমান লাল, জাহাঙ্গীর আলম বাদশা, রিপন তালুকদার জানান, এ কারেন্ট পোকার আক্রমনের বিষয়টি কৃষকরা তদের জানিয়েছেন। সরকারিভাবে কৃষকদের বিনামূল্যে প্রতিশোধক কীটনাশক সরবরাহ করে ফসল রক্ষা জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।
এ দিকে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে ২২৫০ হেক্টর জমিতে ৩৩৫০ কৃষক, জিউধরায় ১৪৫০ হেক্টর জমিতে ৩৩৫০, বহরবুনিয়ায় ১৭শ’ হেক্টর জমিতে ২৮৫০ ও বারইখালীতে ১৭১০ হেক্টর জমিতে ৩৩শ’ কৃষক আমন ধান উৎপাদন করেছে। এর মধ্যে অধিকাংশ ফসলের বাদামি গাছ ফড়িং ও কারেন্ট পোকার প্রার্দুভাব দেখা গিয়েছে।সে ক্ষেত্রে কৃষি অধিদপ্তর পূর্ব মুর্হুতে প্রস্তুতি স্বরুপ এ কারেন্ট পোকার প্রতিরোধে প্রতিশোধকের ক্ষেত্রে কীট ভাইপার, প্লেনামসহ ওষুধ ব্যবহারের জন্য কৃষকদের উদ্ভুদ্ধকরণে করনীয় বিষয় সর্তক বার্তা মাইকিং, কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসার রেহানা পারভীন।