দুই কিশোরের ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে ভারতের হারিয়ানার এক নারী। এদিকে অন্তঃসত্ত্বা ওই স্ত্রীকে খুন করে তার স্বামীরও আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৫ আগস্ট ওই গর্ভবতী নারীকে দু’জন নাবালক কিশোর মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। তারপরই স্ত্রীকে খুন করে সিলিংয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন পেশায় দিনমজুর স্বামী।
ভারতের ইন্ডিয়া টাইমস’র খবরে জানা গেছে, ওই ব্যক্তির বাসা থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে দুই ধর্ষকের নাম উল্লেখ রয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে তার স্ত্রীকে দুই নাবালক ধর্ষণ করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ‘ওই সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, ১৫ আগস্ট গ্রামের বাইরে গিয়েছিলেন তিনি। রাতে বাড়ি ফিরলে স্ত্রী তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে, গ্রামেরই দুই নাবালক বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেছে। সে লিখেছে, এই ঘটনার পরই স্ত্রী মরতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি তাকে বলেছিলাম, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো দরকার। কিন্তু স্ত্রী আমাকে বলেছে, অভিযোগ জানিয়ে কিছু হবে না, পুরোটাই অর্থহীন।’
চিঠিতে সে আরও লিখেছে, ‘মানসিকভাবে স্ত্রী এতটাই ভেঙে পড়ে যে সে আমায় বলে আগে তাকে খুন করতে। কিন্তু আমি কী করে তাকে খুন করব! স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ আসবে আমার দিকেই। তখন সে আমায় জিজ্ঞাসা করে, তুমি কী করতে চাও? আমি বলি, তোমাকে খুন করার পর আমি আত্মহত্যা করব। আমাদের এছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিল না। আমরা আমাদের সন্তানকেও খুন করলাম।’ সুইসাইড নোটে দুই অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করে গেছেন ওই ব্যক্তি।
সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে বারওয়ালা পুলিশ থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছেন নিহত নারীর ভাই। তবে এখনো কাউকে আটকের খবর মেলেনি। ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে ৩০২ (খুন), ৩০৬( আত্মহত্যার প্ররোচনা) ও ৩৭৬-ডি (গণধর্ষণ) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মৃত নারীর ভাই জানিয়েছেন, ‘বোনের মৃত্যুর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যাই। তারপর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করি। বোনের বাড়িতে গিয়ে দেখি তখনো বোনের স্বামী সিলিং থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। মেঝেতে পড়ে রয়েছে বোনের রক্তাক্ত দেহ। গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে বারবার আঘাত করা হয়েছে, তা স্পষ্ট বোঝা গেছে।’