স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা বিষয়ক বুলেটিন বন্ধ হওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার কমে আসায় সরাসরি ব্রিফিং না করে, প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্য জানানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি করোনাভাইরানের প্রকোপ কমে আসায় চলতি মাসেই করোনা ডেডিকেটেড কয়েকটি হাসপাতালকে নন কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হচ্ছে।’
১৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ সংক্রান্ত এক সভা শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘যেহেতু করোনা ভাইরাসে প্রকোপ কমে এসেছে এবং গেল কয়েকমাসে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা কম হয়েছে তাই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ব্রিফিং বন্ধ হলেও কোনো সমস্যা হবে না। প্রেস রিলিজের মাধ্যমে তথ্য দেয়া হচ্ছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী মাসেই বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল করোনার জন্য চিহ্নিত করে বাকি হাসপাতাল অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করা হবে। ক্যান্সারের চিকিৎসায় প্রতিটি বিভাগে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। সেখানে ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগেরও চিকিৎসা হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে একনেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। এসব হাসপাতালে ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রতিবছর দেড় লাখ লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। মারা যান প্রায় এক লাখ লোক। আমাদের ক্যান্সার চিকিৎসায় কেবল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট রয়েছে ৫০০ বেডের। ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার আর হাসপাতাল নেই। দেশে কিডনি রোগীও অনেক, প্রতি বছর ৫০ হাজার মানুষ কিডনি রোগে মারা যায়। কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস লাগে। কিডনি রোগের কারণে বেশি মানুষ মারা যায়। এই হাসপাতাল হলে রোগীদের বিদেশে যাওয়া আর লাগবে না। এ ছাড়া আমাদের দেশে কার্ডিয়াক রোগী অনেক বেশি।
সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান এবং মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।