যশোর জেলার অভয়নগর থানার এক কিশোরীকে (১৭) অপহরণ করে ভারতে নিয়ে দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগে মো. আশিক গাজী (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে র্যাব-৬।
খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন ১ নম্বর আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের আটরা শেখপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক আশিক খুলনা জেলার রূপসা থানার কাজদিয়া গ্রামের মো. মুনসুর গাজী ছেলে।
র্যাব-৬ জানায়, আটক আশিক যশোর জেলার অভয়নগর থানার এক কিশোরীকে (১৭) অপহরণ করে অবৈধভাবে পাচার করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের উত্তর প্রদেশের লকনৌতে নিয়ে যায়। সেখানে ওই কিশোরীকে আশিক জোড়পূর্বক প্রায় একবছর আটকে রাখে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ধর্ষণসহ তার অশ্লীল ভিডিও ও নগ্ন ছবি মোবাইলে ধারন করে সেগুলো তার ফোনে সংরক্ষণ করে রাখে। পরবর্তীতে জোরপূর্বক কিশোরীকে দেহ ব্যবসায় লিপ্ত হতে বাধ্য করেন। এছাড়াও ওই কিশোরীকে দালালের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে বেঙ্গালুর ও কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে দেহ ব্যবসার জন্য নিয়ে যায় আশিক।
পরবর্তীতে গত ২০ জুলাই ওই কিশোরীকে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে আশিকের নিজ বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক আটকে রাখেন আশিক। সেখানে কয়েকদিন থাকার পর কিশোরী কৌশলে তার বোনের বাড়ি খুলনা জেলার ফুলতলা থানাধীন প্রায়গ্রামের কসবায় পালিয়ে যায়। তখন আশিক ওই কিশোরীকে ফোন দিয়ে পুনরায় ভারতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। ভারতে যেতে রাজি না হলে সে তার মোবাইলে ধারণকৃত নগ্ন ছবি ও ভিডিও ফেইসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেবে বলে হুমকি দেয়। এতে কাজ না হলে আশিক নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টসহ কিশোরীর বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের ইমো এবং ফেসবুক মেসেঞ্জারে ধারণকৃত অশ্লীল ছবি এবং ভিডিওর স্ক্রীনশট পাঠাতে শুর করে। গত ১০ আগস্ট ওই কিশোরী র্যাব-৬ এর নিকট এ অভিযোগ দায়ের করেন।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে কৌশলে মো. আশিক গাজী আটক করে। এসময়ে তার দখলে থাকা দুইটি মোবাইল ও দুইটি সীম কার্ড উদ্ধার করে।
র্যাব-৬ এর সহকারী পরিচালক (লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া) মাহবুবুল আলম বলেন, আটকের পরে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তার কাছ থেকে জব্দকৃত দুটি মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে উপরোক্ত ঘটনার প্রাথমিক সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাকে খুলনার খান জাহান আলী থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।