সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গুড়পীপুল আশার প্রদিপ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ নিভে যাচ্ছে মর্মে সদস্যরা মানববন্ধন করেছে।
৯ আগষ্ট রবিবার সকালে গুড়পীপুল থেকে নিমগাছী রাস্তার খীরসিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ মাথা মোড়ে গুড়পীপুল আশার প্রদিপ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্যরা এ মানববন্ধর করে। এই সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক লাকী খাতুন বলেন, ২০০৮ সালে এলাকার হতদরিদ্র পরিবার থেকে ১জন করে সদস্য নিয়ে ২৫০জন মিলে আমরা গুড়পীপুল আশার প্রদিপ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ গঠন করি। সমবায় সমিতির রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে সকলে মিলেই আমরা কাজ শুরু করে আসতেছিলাম। ২৫ জন সদস্য বাদ যাওয়ায় ২শ ২৫ জন সদস্য নিয়ে এই সমিতি নিয়ম নীতি মেনে মাসিক ৫০টাকা সঞ্চয় দিতে ছিলাম। সকল সদস্যর সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে গুড়পীপুল আশার প্রদিপ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের নামে ১৫ শতক জায়গা ক্রয় করলে ওয়াল্ড ভিশন,বাংলাদেশ ঐ জায়গায় ঘর করে দেয়। কমিটির সভাপতি মিনতী রানী বসাক লেখাপড়া জানে বলে বিভিন্ন অফিসের কাজ কর্ম করতো। কিন্তু সে তলে তলে গুড়পীপুল আশার প্রদিপ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ আড়ালে নিজের নামে তাড়াশ ক্ষুদ্র নৃ-তাত্বিক মহিলা উন্নয়ন সংস্থা করে সেই সংস্থার নামে তাঁত শিল্প সহ বিভিন্ন অনুদান সংগ্রহ করে ও গুড়পীপুল আশার প্রদিপ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ নামে যে সকল অনুদান আসতো সব তার নিজ দায়িত্বে কার্যক্রম চালায়। আমরা বললে সে বলে এখান থেকে যে আয় হবে তা সকল সদস্যরাই পাবে। সে এক সময় তাড়াশ ক্ষুদ্র নৃ-তাত্বিক মহিলা উন্নয়ন সংস্থা ভাড়া নিবে বলে ৩ শতক জায়গা চাইলে আমরা দিতে রাজি হই। কিন্তু বর্তমানে ওই জায়গায় মিনতী রানী বসাক গুড়পীপুল আশার প্রদিপ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ নামে যে সাইন বোর্ড ছিল তা সরিয়ে তাড়াশ ক্ষুদ্র নি-তাত্বিক মহিলা উন্নয়ন সংস্থার নামে ৩টি সাইন বোর্ড লাগিয়েছে। গুড়পীপুল আশার প্রদিপ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্যরা তাদের আয় ব্যয়ের হিসাব নিতে সেখানে আসলে সে জোড়পূর্বক তাদেরকে বের করে দিয়ে উল্টো তাদের নামে ও বাহিরের কিছু লোকের থানায় অভিযোগ করেছে। এছাড়াও গুড়পীপুল আশার প্রদিপ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও মিনতী রানী বসাক ক্ষমতা ছাড়ছেন না। তাছাড়াও প্রতি সঞ্চয়ী প্রায় ২২৫ টি পাশ বইয়ে ৪ হাজার করে টাকার কোন হিসাব দিচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে গুড়পীপুল আশার প্রদিপ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ সাবেক সভাপতি ও তাড়াশ ক্ষুদ্র নি-তাত্বিক মহিলা উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা মিনতী রানী বসাক বলেন,আমি কাউকে আসতে বাধা দেই নাই। ৭/৮ বছর হলে অনেকেই শেয়ার দেয় না তাই তাদের সাথে যোগাযোগ করি না। সমিতির নামের জায়গা সমিতির নামেই আছে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত সমবায় থেকে অডিট করা আছে। এছাড়াও তিনি থানায় অভিযোগ বিষয়ে বলেন আমার ও সমিতি লিঃ নিরাপত্তার জন্য অভিযোগ দিয়েছি।