ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার গুলিস্তান মোড়ে করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমাদের করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি বক্তব্য তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ আয়োজন করে ‘আসে দিন যায়’ পত্রিকা।
শেখ হাসিনাকে গুলিস্তান মোড়ে বিচার করা উচিত মন্তব্য করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, তাদের বিচার হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, নিম্ন আদালতে নয়, গুলিস্তান মোড়ে করা উচিত। তারা যেভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে এটা ভাবা যায়? যারা হত্যাকারী তাদেরকে রক্ষা করার জন্য সেনাবাহিনী ছিল। আর এ দেশের কৃষক শ্রমিক যারা দেশকে রক্ষা করছে তাদের রক্ষার জন্য আনসার বাহিনীও ছিল না।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া বাংলাদেশকে রক্ষার কোনো পথ নেই মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, এই দেশ স্বাধীন করতে এক সাগর রক্ত দিয়েছে দেশের মানুষ। এ রকম রক্ত পূর্ব এশিয়ার কোনো জাতি দেয়নি। শুধু তাই নয়, বিশ্বের অন্য কোনো জাতি দিয়েছে কিনা আমার জানা নেই। সেই দেশে ৫২ বছর পরে এসেও গণতন্ত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কথা বলতে হবে এটা বড় ট্রাজেডি। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে মানুষকে ভোটের অধিকার দিতে হবে। নির্বাচন করার ক্ষমতা দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চোর উৎপাদকের হাতে পড়েছিলাম। শেখ মুজিব জীবিত থাকা অবস্থায় তার ছেলে ব্যাংক ডাকাত হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। তারা সপরিবারে মারা গেছে। অপশাসনের কি ভয়ংকর পরিণতি তা আমরা দেখেছি। তার দুটি কন্যা ছিল তারা এত বড় লুটেরা, খুনি যে ইতিহাসের ভয়ংকর অধ্যায় হিসেবে থাকবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করে দুদু আরও বলেন, আমরা সমর্থন করেছি, এ দেশের গণতন্ত্রকামি মানুষ সমর্থন করেছে। সহযোগিতা করার জন্য উন্মুক্ত হয়ে আছে। এ সরকারের যারা আছেন তারা হয়তো রাজনীতি করেনি। কিন্তু তারা জ্ঞানী। তাদেরকে বুঝতে হবে। কারণ, বুঝে শুনেই তারা ক্ষমতা নিয়েছে। তাদের মতো জানাশোনা লোক বাংলাদেশে কমই আছে। রাজনীতি বুঝতে হবে। যদি না বোঝেন তাহলে আমাদের কাছে আসুন, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে যান, কৃষক-শ্রমিকের কাছে যান। কে লুটেরা, খুনি এটা না বোঝার কিছু নাই। দিনের আলোয় তারা করেছে।
গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুল্লাহ, মানবাধিকার কর্মী মঞ্জুর হোসেন ঈসা, কৃষক দল নেতা এসকে সাদী, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।