বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামল বাংলাদেশকে গণকবরে পরিণত করেছিল।
তিনি বলেন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে এখনো ফ্যাসিবাদের অনেক দোসররা ঘাপটি মেরে রয়েছে। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন দিয়ে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ছাত্রজনতা এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়ে, গুম-খুন করে বাংলাদেশকে গণকবরে পরিণত করেছিল।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় ডেঙ্গু মোকাবেলায় জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল, আমিনুল হক, এস এম জাহাঙ্গীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রশাসনে ফ্যাসিবাদের দোসরদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তাছাড়া শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না। পুলিশের মাঠ পর্যায়ের রদবদল প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া ৮’শ তিন জন পুলিশের উপ-পরিদর্শকের সবাই হাসিনার ক্যাডার। এদের মধ্যে ২’শ পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে, যাদের বাড়ি গোপালগঞ্জে। এই সব পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, যে পুলিশ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে, সেই সব পুলিশ কিভাবে এখনো প্রশাসনে বহাল তবিয়তে আছে? গোপালগঞ্জের মতো জেলার বাসিন্দা পুুলিশের ২’শ এস আই কিভাবে এখনো কাজ করছে?
জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থান সফলে ছাত্রজনতা গুলির মুখে বুক পেতে দিয়ে শহিদ হয়েছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আন্দোলন চলাকালে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ভিডিও দেখিয়ে তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছিল, ‘স্যার একজন মরে, আরো দুইজন দাঁড়িয়ে যায়।’ এই ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব দেয়া হলে তা ছাত্রজনতার রক্তের সাথে বেইমানী করা হবে।