চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে টানা কয়েক দিন বৃষ্টি ও ভারি বর্ষণের ফলে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তাছাড়া অবিরাম বৃষ্টির ফলে নিম্নাঞ্চলের দুই লক্ষাধীক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছে জনজীবন। জানা যায়, এই উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা রয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির ফলে উপজেলার ফরহাদাবাদ, ধলই, মির্জাপুর, ছিপাতলী, নাঙ্গলমোড়া, গুমানমর্দ্দন, গড়দুয়ারা, মেখল, উত্তর ও দক্ষিণ মাদার্শা, শিকারপুর, বুড়িশ্চর ও হাটহাজারী পৌরসভার কিছু কিছু এলাকায় বন্যা প্লাবিত হয়েছে। এদিকে পৌরসভার সুন্দরীছরা ভাঁঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পাহাড়ী ঢলের পানিতে ৮ নং ওয়ার্ডের মিরেনখীল গ্রাম ও মীর রোড বন্যা প্লাবিত বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। বন্যার পানিতে আমান ধান, মৎস্য খামার-পুকুর এবং গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্যা প্লাবিত বাড়িঘর ও যাতায়াতের সড়কের উপর পানি থাকায় দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষেরা বিপাকে পড়েছেন। ১২ নং চিকনদন্ডী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ অশোক কুমার দেব জানান, ফতেয়াবাদ সত্যানন্দ মঠ তথা সাধুর পাহাড়ের মন্দিরে প্রবল বর্ষনে পাড়ের ধস দেখা দিয়েছে। এতে মন্দিরটি ধসে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। মির্জাপুর ইউপির সাবেক মেম্বার রুপেন কুমার শীল জানান, কুমারী খালের বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে লোকালয়ে পাহাড়ি ঢল ঢুকে পড়েছে। এতে জন দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এনায়েতপুর এলাকার কৃষিজীবী অহিদুল আলম জানান, প্রবল বর্ষনে তার ১২ কানি জমির রোপা আমন পানিতে তলিয়ে গেছে। এ নিয়ে হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম মশিউজ্জামান বলেন, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতে উপজেলার আটটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে আর সংশ্লিষ্ট যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলো আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে মেডিকেল টিম, ত্রাণ রেডি করে রাখা হয়েছে। তবে কোনো কেন্দ্রে এখনো পর্যন্ত কেউ আশ্রয় নেননি বলেও জানান তিনি।