নরসিংদীর রায়পুরায় মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে মোমেন মিয়া নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর সঙ্গে থাকা ভাগনে অনিক। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রায়পুরা থানার ভিটি মরজাল শিমুলতলী এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, পুলিশ পরিদর্শন করেছে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রায়পুরা থানার ভিটি মরজাল শিমুলতলী এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।নিহত মোমেন মিয়া (৪০) পেশায় ডিম ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি শিবপুর থানার জয়নগর গাবতলী উত্তরপাড়া এলাকার আসাদ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় আহত ভাগনে অনিক (২০) বেলাব উপজেলার হোসেন নগর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী জেলা হাসপাতাল ও পরে সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।এ ঘটনার পর থেকে মহাসড়কের উভয় পাশে যানবাহনের তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্য, রায়পুরা পুলিশ, ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, মোমেন মিয়া তাঁর বোনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী বেলাব উপজেলার হোসেন নগর গ্রাম থেকে ভাগনে অনিককে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে এলাকায় ফিরছিলেন। পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভিটি মরজালের শিমুলতলী এলাকায় পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে দুই আরোহীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ব্যবসায়ী মোমেন মিয়ার মৃত্যু হয়।আহত অনিককে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকেরা তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। খবর পেয়ে নিহতের পরিবারের সদস্যরা মরদেহ শনাক্ত করেন।নিহত মোমেন মিয়ার ছোট ভাই রাসেল মিয়া বলেন,অনিক একই এলাকার সবদর আলীর ছেলে সালাম (৩৪) ও হানিফার ছেলে শামীম (৩০) চিনতে পেরেছে। তারা মোমেন মিয়ার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা না দেওয়ার কারণে তারা প্রায়ই ভয়ভীতি হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। ৫-৬ জন দুর্বৃত্ত ভাইকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যার বিচার চাই।রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাফায়েত হোসেন পলাশ বলেন, কী কারণে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে তা তদন্তের পর বলা যাবে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।