নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাবেক এমপি শামীম ওসমানকে প্রধান আসামী করে ১২৩ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মনির হোসেনের ছোট ভাই সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক। নিহত মনির হোসেন (৫৬) কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার তালতলা গ্রামের মমতাজুর রহমানের ছেলে। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহল্লার ২ নম্বর সড়কের এইচ-এ ২২২ পিএম টাওয়ারের কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করতেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পণ্ড করার জন্য গত ২০ জুলাই আসামিরা একজোট হয়। তারা পিস্তল, শর্টগান, ককটেল ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলা চলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এসময় তারা ১ থেকে ৩ নম্বর আসামির নির্দেশে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ করে এলোপাথারি গুলি করে। তখন হীরাঝিল এলাকার ইব্রাহীম খলিল শপিং কমপ্লেক্সের পেছনে সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুকের চুনা খারকানার সামনের রাস্তায় বাদীর বড় ভাই মনির হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে চিকিৎসাধিন অবস্থায় পপুলার মেডিকেল হাসপাতালের আইসিইউতে ২২ জুলাই বিকেলে তার মৃত্যু হয়। মামলার অন্যতম আসামিরা হলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুক, ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শ্রমিকলীগের সভাপতি ছামাদ বেপারী, ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান খান রিপন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর উদ্দিন মিয়া, অ্যাভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, মৎসলীগ নেতা অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল।